
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।
শনিবার বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে শুধু বাঙালি জাতির পিতা আর বাংলাদেশের স্রষ্টাই হননি। তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী ও বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের সঙ্গে বিশ্বের আরেক খ্যাতিমান নারী এলিনর রুজেভেল্টের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। এলিনর রুজভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রের চারবার নির্বাচিত ও দীর্ঘকালীন সময়ের প্রেসিডেন্ট ফ্রন্কলিন ডি রুজভেল্টের স্ত্রী।
বেগম মুজিব আর এলিনর রুজভেল্ট দুজনেই শৈশবে তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন। দুজনেই তাদের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন আর দুজনেই তাদের স্বামীর রাজনীতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে— শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একটা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছিলেন আর এলিনর রুজভেল্টের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক অর্থাৎ ৭ই মার্চের ভাষণের আগ মূহুর্তে বঙ্গমাতাই জাতির পিতাকে চূড়ান্ত অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী মহীয়সী নারী দেশের স্বাধীনতাসহ সব গৌরব অর্জনের নেপথ্য প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা মুজিব।