ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী লংমার্চের সমর্থনে ফেনী শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে লংমার্চ সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন। এতে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেলসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পরে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতেও দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশে শেষে যখন লংমার্চ সমর্থকরা ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এ সময় হামলা করেন ওই দুর্বৃত্তরা। তারা রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঘাত করেন। এতে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উদীচী, যুব ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্টের কর্মীরাও রয়েছেন। এ সময় লংমার্চের বহরে থাকে তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করেন দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন জাওয়াদুল ইসলাম, আসমা, ইমা, রাফিন, মাহমুদা দীপা, স্বর্ণা, তাহমিদা, মাহির শাহরিয়ার রেজা, জহর লাল রায়।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় অভিযোগ করেন, সমাবেশ শেষে ফেরার পথে দুই দফা হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ সেখানে উপস্থিত থাকলেও আমাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেনি। উল্টো আমাদের কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি। ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি ওই স্পটেই আছি। পরে কথা বলছি।