- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

ফলের সমারোহ ছাদবাগানে

করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের জীবনের ছন্দপতনের সময় প্রশান্তি ও বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায় প্রকৃতি। আর সেই প্রকৃতি গড়ে তুলেছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে এবং ইউএনওর ডাকবাংলোতে।

যখন শহরগুলো থেকে ইট-কাঠের নাগরিক সভ্যতায় হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। তাই শৌখিন মানুষ তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে আঁকড়ে ধরে রাখার নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় আপন আপন বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদবাগান। এই ছাদবাগানে যখন ফলের সমারোহ দেখা যায়, তখন মনে প্রশান্তি এনে দেয়। এমনই ফুল-ফলের বাগান করা হয়েছে খানসামা উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে এবং ইউএনওর ডাকবাংলোতে। নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি এগুলোতে নিজস্ব পরিকল্পনায় বাগান এবং পরিত্যক্ত জায়গায় লিচুবাগান ও সবজি চাষ করেছেন খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষিবিদ আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম। এখন এই ছাদবাগানে ফলের সমারোহ। যে কারও মন ভরে দেবে এ ফলের বাগান। এই ছাদের বাগান হয়ে উঠেছে প্রকৃতির বনাঞ্চল।

বাগানে কিছু ফলগাছ আছে যেগুলোতে সারা বছরই ফল ধরে। আর ছাদের বাগানে চাষ করা বিষমুক্ত ফল দিয়ে করাও হয় অতিথি আপ্যায়ন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে প্রশাসনিক কাজ শেষে তিনি বছরখানেক আগে ছাদবাগান শুরু করেন। এই ছাদে টবে ব্যানানা আম, লিচু, তাইওয়ান কুল, লেবু, কমলা, মাল্টা, করমচা, চেরিফল, জামরুল, ডালিম, আপেল, পেয়ারা, সফেদা, শরীফা, মিষ্টি তেঁতুল, মিষ্টি জলপাই, লটকন, মিষ্টি কামরাঙা, জাম্বুরা, ড্রাগন ফল, কদবেল, বেল, ক্যাপসিকাম ও আমড়াসহ ৪০ প্রজাতির ফলদ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। অফিস ভবনের মাঝে হঠাৎ সবুজে সবুজে ছেয়ে থাকা এই ফলের ছাদ বাগান দেখে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আগত সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের চোখ জুড়ায়। এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষিবিদ আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম জানান, ছাত্রজীবন থেকেই কৃষির প্রতি ভালোবাসার টান রয়েছে। মাটির সান্নিধ্যে থাকুন, মনকে প্রফুল্ল রাখুন। তিনি সবাইকে সৃষ্টিশীলতা ও নান্দনিকতা চর্চার আহ্বান জানান।সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন