- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে সাত শতাংশ, দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি পূর্বাভাস এডিবির

করোনাভাইরাসের কারণে চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে বাংলাদেশ। আগামী অর্থবছরেই (২০২০-২১) বাংলাদেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করে এডিবি। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর মন্দা প্রভাব কাটিয়ে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপও কিছুটা বাড়তে পারে চলতি বছরের শেষ সময়ে। চলতি অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরেই আবার কমে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে। গতকাল বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর করোনার প্রভাব ও দ্রুত উত্তরণ শীর্ষক এক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এমন আশার কথা জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গতকাল ওই প্রতিবেদন মতে, এডিবির পূর্বাভাসের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের দাবিও অনেকটাই কাছাকাছি। তবে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির সম্পূর্ণ বিপরীতে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস। বিশ্বব্যাংক বলছে চলতি বছর জিডিপি হতে পারে ২ থেকে ৩ শতাংশ। এডিবির পূর্বাভাস প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে। করোনার কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেরও চলতি অর্থবছরের শেষ তিন মাস অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে, যা গত তিন মাসের ক্ষতি পুষিয়ে নেবে। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেছেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস বাংলাদেশের অর্থনীতির দারুণ সাফল্য ছিল। করোনার সংক্রমণ শুরু হলে তা কমে আসে এবং আশা করা যায় আগামী অর্থবছরে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এবং আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তা নির্ভর করছে কত দ্রুত সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তার ওপর। আর বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা কাটিয়ে ওঠা, কৃষি খাতে বিনিয়োগের আগাম উদ্যোগ, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সহজে কৃষিতে বিনিয়োগের সুবিধা, নতুন উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহযোগিতা করবে।’মনমোহন প্রকাশ আরও বলেন, এডিবি বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে এবং করোনার কারণে তাৎক্ষণিক অর্থ-সামাজিক অবস্থা ধরে রাখতে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে জরুরি ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে নতুন অর্থবছরেও জোরালো সহযোগিতা দেবে এডিবি।সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন