বিয়ের পর প্রথম সন্তান নেওয়ার ঠিক কতদিন পর দ্বিতীয় সন্তান নেওয়া উচিত? এ প্রশ্নের উত্তর অনেকেই বলতে পারবেন না। জানার প্রয়োজন আছে বলেও কেউ মনে করেন না। তবে প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তানের কথা ভাবলে কিছু সময় অপেক্ষা করা উচিত। প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার মধ্যে একটা পার্থক্য রাখা খুবই জরুরি। তা না হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তানের কথা ভেবে থাকলে তাহলে অবশ্যই মাঝে একটা বয়সের তফাৎ রাখা জরুরি। দ্বিতীয় সন্তান যেন খুব বেশি তাড়াতাড়ি না হয়ে যায়। দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার আগে কিছুটা সময় অপেক্ষা করুন। বর্তমান আধুনিক এই যুগে ছেলেদের মতো মেয়েরাও তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। এ কারণে অধিকাংশ মহিলারাই ৩০-এর ঘরে পৌঁছানোর পর প্রথম সন্তানের মা হয়ে থাকেন। তাই দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে মাঝে খুব বেশি পার্থক্য রাখা সম্ভব হয় না তাদের।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার সন্তান জন্ম দেওয়া মহিলাদের শরীরে অনেক ধকল পড়ে। এ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তারপরই দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার কথা ভাবা উচিত। তবেই মা এবং শিশু উভয়েরই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যে, ওই মহিলার শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি থাকে তাহলে দ্বিতীয় সন্তানের কথা ভাবার আগে সতর্ক থাকা জরুরি। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সমীক্ষা বলছে, প্রথম সন্তান জন্মের ছয় মাসের মধ্যে মা গর্ভবতী হলে সেই সন্তান সময়ের আগেই জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় সন্তানের ওজন কম হয় ও বিভন্ন জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রথম সন্তান জন্মের পর যদি দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দিতে চান তাহলে মাঝে অন্তত ১৮ মাস থেকে ২৩ মাস সময়ের পার্থক্য রাখা ভালো। এতে মায়ের শরীর সম্পন্নভাবে সেরে ওঠার সময় পায়। প্রথম সন্তান জন্মের পর সাত থেকে সতেরো মাস সময়ের মধ্যে মা গর্ভবতী হলেও ঝুঁকি থেকে যায়। তবে তা প্রথম ছয় মাসের মধ্যে গর্ভধারণ করার থেকে অনেক কম। এছাড়া আর্থিকভাবে প্রথম সন্তান জন্মের পর দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দিতে কিছুটা বেশিই চাপ থেকে। কারণ, প্রথম সন্তান থেকেই শিশুর দেখভালসহ অন্যান্য কিছু খরচ রয়েছে। তাই প্রথম সন্তান জন্মের পর দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করলে মাঝে অবশ্যই ব্যবধান রাখা উচিত।

সূ্ত্র : ইন্ডিয়া টাইমস