করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মারা গেছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মজিবুর রহমান। বগুড়ায় পরীক্ষার জন্য ল্যাবে নমুনা দেয়ার ৮ ঘণ্টার মাথায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি।
শনিবার (২০ জুন) রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যান তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নমুনা দেয়ার পর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তিনি সেখান থেকে সরাসরি হাসপাতালে এসে আইসোলেশনে ভর্তি হন। সন্ধ্যার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থান অবনতি হতে থাকে।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার খায়রুল বাশার মোমিন জানান, মজিবর রহমান (৫৮) উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাজমায় ভুগছিলেন। কয়েকদিন ধরে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্টও ছিল। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। এরপর অসুস্থবোধ করলে সেখান থেকে বেরিয়ে মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। রাত ৮টার দিকে তিনি সেখানেই মারা যান।
মজিবুর রহমান বগুড়ায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মহাস্থানগড়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কোয়ার্টারে থাকতেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায়।
১ এপ্রিল সংক্রমণ শুরুর পর থেকে শনিবার পর্যন্ত বগুড়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫ জনের শরীরে। এদের মধ্যে ১৯৭ জন্য সুস্থ এবং ২৯ জন মারা যাওয়ায় বর্তমানে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৯ জন। এছাড়া শনিবার পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলায় মারা গেছেন ২৮ জন।