- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

পিঠে ও কোমরে ব্যথা হলে যা করবেন

যুগ যত আধুনিক হচ্ছে, আমরা ততই অলস হচ্ছি। আমরা নির্বর হচ্ছি চেয়ার-টেবিলের উপর। অনেকেই অফিসে একটানা বসে কাজ করতে করতে পিঠ ব্যথা হয়। আবার কারো কারো সেই ব্যথা কোমর পর্যন্ত চলে আসে। এর ফলে তীব্র যন্ত্রণায় কোমর যেন ছিঁড়ে যায়। একটানা কাজ করতে করতে মেরুদণ্ডের সমস্যাও তৈরি হয়।

প্রায় মানুষই এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় তাৎক্ষণিক আরাম পেতে ওষুধ বা ইঞ্জেকশনের ওপর নির্ভর করেন। তবে সেসব না করে জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন এনেই এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। চলুন জেনে নিই বিষয়গুলো-

১. যোগ আসন: বসে টানা কাজ করলে কোমরে ব্যথা হয় এববং নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়। তবে আস্তে আস্তে কিছু যোগাসন বা স্ট্রেচ করলে আরাম মিলতে পারে। নিয়মিত এই অভ্যাসে ব্যথা থেকে রেহাই মিলতে পারে।
২. যোগ ব্যায়াম: যোগ ব্যায়াম শরীরকে প্রসারিত এবং শক্তিশালী করে। যোগ ব্যায়াম করলে প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিবর্তন করা সহজ হয়। এই ব্যায়াম ব্যথা লাঘবেও সহায়ক।
৩. ধূমপান ত্যাগ: বেশি ধুমপান করলে মেরুদণ্ডের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দেরি হয়। তবে ধূমপান না করলে তা নানা রকম ব্যধি থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি দেয়।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুম কম হলেও কোমরের ব্যথা বাড়তে পারে। ঘুমের সময় স্নায়ু এবং পেশি শিথিল হয়ে যায়। পরের দিন ঘুম থেকে উঠলে সেই পেশি অনেক বেশি তরতাজা থাকে।
৫. সোজা হয়ে বসা: চেয়ারে বসার সময়, শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। ক্লান্ত শরীরে কী ভাবে বিছানায় শুতে যাচ্ছেন তার উপরেও কোমরের ব্যথার বাড়া-কমা নির্ভর করে।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ: বেশি ওজন হলে কোমরে বা পিঠের যন্ত্রণা হওয়ার ঝুঁকি বেশিব থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ক্রমবর্ধমান হলে খাওয়াদাওয়া রাশ টানুন, শরীরচর্চা করুন।
৭. অবস্থান পরিবর্তন: এমন একটি স্থায়ী ডেস্ক ঠিক করুন যেখানে মনিটরের সাথে আপনার বসার স্থানের উচ্চতার সামঞ্জস্য রয়েছে।
৮. হিটিং প্যাড ব্যবহার: একটি হিটিং প্যাড আপনার পিঠে রক্ত এনে ব্যথা নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
৯. তোয়ালে জাতীয় কিছু ব্যবহার: বসার সময় মেরুদণ্ডের গোড়ায় একটি রোলড-আপ তোয়ালে বা বিশেষ কটিদেশীয় বালিশ আপনাকে সোজা হয়ে বসতে সহায়তা করতে পারে।
১০. ম্যাসাজ: কখনো কখনো ম্যাসাজ আঁটসাঁট পেশীগুলিকে শিথিল করতে সহায়তা করতে পারে।