- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

পিকটাইম এখনো আসেনি

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ১০৬ দিন পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে। প্রথম রোগী শনাক্তের ২৮ দিন পর ৬ এপ্রিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়, ৫০ হাজার ছাড়ায় গত ২ জুন। এর পরের ৫০ হাজার বেড়েছে মাত্র ১৬ দিনেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের ধারা এখন ঊর্ধ্বমুখী। পিকটাইম কবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, দেশে সংক্রমণের পিকটাইম কবে হতে পারে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ‘প্রজেকশনই’ হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আশা করছেন, এ মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতে দেশে সংক্রমণ কমতে পারে। জনস্বাস্থ্যবিদদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারের করোনাবিষয়ক কমিটির প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শাহ মুনির হোসেন বলেন, ‘সংক্রমণ ওপরের দিকে যাচ্ছে, তবে পিকে আছি কিনা সেটা কেউ বলতে পারবে না। তবে গত কয়েক দিনের রোগী শনাক্তের হার বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে আগামী আট থেকে ১৫ দিন এরকম চলতে পারে। এ মাসের শেষদিক নাগাদ রোগী দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং এ মাসের শেষের দিকে সংক্রমণ কমতে পারে বলে তথ্য বিশ্লেষণ করে মনে হয়েছে।’ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে রোগী বাড়তেই থাকবে বলেও মন্তব্য করেন শাহ মুনির। তিনি বলেন, ‘জুন মাসের প্রথম দিকে সংক্রমণ কমতে থাকে বলে মনে হলেও আজকের অবস্থা হয়েছে ঈদের ছুটির কারণে। আর এখন যদি কঠোর লকডাউন না করা হয়, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয় তাহলে সংক্রমণ আবার বাড়বে।’ তবে বাংলাদেশে কোনো ফর্মুলা মেনে পিকটাইম আসবে না বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির দিকে যাচ্ছি, দিনকে দিন সংক্রমণ বাড়ছে। আর এই সংক্রমণ আপনাআপনি বিদায় নেবে না। রোগীদের শনাক্ত করে তাদের আইসোলেশন করে সংক্রমণের বোঝা কমাতে হবে। তার সঙ্গে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ কমানোর অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৩১ জন। এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনের শরীরে। সব মিলিয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৪৬৪ জন। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এবং রোগী শনাক্ত- উভয় সংখ্যাই বেড়েছে। দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে চার হাজার আট জনের। এ তথ্য জানানো হয় ১৭ জুনের বুলেটিনে। গতকাল করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৭ জন। একই সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭১০টি, দেশজুড়ে ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৮৫টি। এখন পর্যন্ত মোট ছয় লাখ ১২ হাজার ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ এবং চারজন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৩ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ছয়জন। অঞ্চল বিবেচনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে চারজন করে, রাজশাহী বিভাগে দুজন, সিলেট ও রংপুর বিভাগে একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন। সারা দেশের কোথায় কোথায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নতুন রোগী শনাক্ত হলেন এবং তার সর্বশেষ খবর জানিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা- দিনাজপুর : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ফার্মাসিস্টসহ ৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুর সদরে পাঁচজন, পার্বতীপুরে একজন, বিরামপুরে একজন, চিরিরবন্দরে একজন এবং ফুলবাড়ীতে একজন রয়েছেন। এ নিয়ে দিনাজপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৩৫২ জন, নারী ১১৬ জন ও শিশু ২৪ জন রয়েছে। বর্তমানে ২৩৪ জন হোম আইসোলেশনে এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ১১ জন, হাসপাতালে ভর্তি ১৪ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন সুস্থসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২২৫ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল কুদ্দুছ। চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলায় আরও ১৯৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় জেলায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ছয় হাজার ২৯২ জন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাঁচটি ল্যাবে ৬৭০টি নমুনা পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়া গেছে। তাতে নতুন শনাক্ত ১৯৪ জনের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ১২৮ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার মোট ৬৬ জন। এর মধ্যে বোয়ালখালী উপজেলায় সর্বোচ্চ ১৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত যে ছয় হাজার ২৯২ জন শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৮৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছেন আরও দুজন। এ পর্যন্ত ১৩৮ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। রাজশাহী : বিভাগের আট জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজার। এ বিভাগে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৪৬ জন। আর এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৪৭ জন। রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের আট জেলায় এখন মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন বগুড়ায়। পরের অবস্থানে রয়েছে পাবনা জেলা। সেখানে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৭০ জন। ২৬১ জন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে সিরাজগঞ্জ। এ ছাড়া জয়পুরহাটে ২৫৩ জন, নওগাঁয় ২৩৯ জন, রাজশাহীতে ২৩৭ জন, নাটোরে ১৩৫ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বিভাগে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ৪৭ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩১ জনই বগুড়ার। এ ছাড়া পাবনায় পাঁচজন, নাটোরে এক, নওগাঁয় চার এবং রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জে তিনজন করে মারা গেছেন। সিলেট : বিভাগে করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছাড়িয়েছে?তিন হাজার। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে সিলেট বিভাগে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৭৭ জন। বিভাগে সংক্রমিত হয়েছেন তিন হাজার ১৬৩ জন। একই সময়ে বিভাগে মারা গেছেন একজন। সংক্রমিত ব্যক্তিরা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে সিলেটের ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। অন্যদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে সুনামগঞ্জের তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। ঢাকার পরীক্ষাগার থেকে হ?বিগঞ্জ জেলার ৬৬ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ২৮ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। ময়মনসিংহ : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সদরে ১০০, ভালুকায় ৩, ঈশ্বরগঞ্জে ২, ফুলবাড়িয়া ও গফরগাঁওয়ে একজন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৩১৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৭৯ জন। কুমিল্লা : জেলায় নতুন করে ৭৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে কুমিল্লায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৮১ জন। ২৪ ঘণ্টায় একজনসহ মোট ৭৯ জন মারা গেছেন। ৩০ জন-সহ মোট ৭৭৭ জন সুস্থ হয়েছেন। কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হবিগঞ্জ : জেলায় এক দিনে আরও ৮১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩৫৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় শনিবার এক দিনে ৮১ জন আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় (শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাসহ) ৪০ জন, মাধবপুরে ২২ জন, চুনারুঘাটে সাতজন, বানিয়াচংয়ে ছয়জন, লাখাইয়ে দুজন, আজমিরীগঞ্জে দুজন, বাহুবলে একজন ও নবীগঞ্জে একজন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫৮ জন ও মারা গেছেন চারজন। বিশ্বনাথ (সিলেট) : উপজেলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নতুন করে আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে পাওয়া রিপোর্টে ওই দুজনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ জনে। এ তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩৩ জনে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয়জন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বরিশাল : শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কভিড পজিটিভ এক রোগী (৬০)। ২৯ মার্চ থেকে গতকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ২৬ জনের করোনা পজিটিভ। টাঙ্গাইল : জেলায় নতুন করে ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ছয়জন, গোপালপুরে চারজন, নাগরপুর, মির্জাপুর ও ভুঞাপুরে তিনজন করে, কালিহাতীতে দুজন, দেলদুয়ার, সখীপুর, বাসাইল, মধুপুর ও ধনবাড়িতে একজন করে রয়েছেন। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৪২৫ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ১৫০ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৯ জন। মোট কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৮৩ জন। শেরপুর : জেলায় নতুন করে আরও ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৯ জনে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮৮ জন, নকলা উপজেলায় ৪১, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৩৯ জন, ঝিনাইগাতীতে ২২ জন, শ্রীবর্দী উপজেলায় ১৫ জন।

করোনায় আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের জেনারেল সার্জন ডা. বজলুর রহমান করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টায় ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইমপালস হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার প্রফেসর ডা. খাদিজা আকতার ঝুমা জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হন ডা. বজলুর রহমান। গত রাতে তিনি মারা যান। করোনাভাইরাসে ডা. বজলুর রহমানের স্ত্রী সেতারা রহমানও আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি। ডা. বজলুর রহমানের ছেলে ডা. শহীদুল্লাহ ফয়সাল জানান, ঢাকায় তার প্রথম জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিন