- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

পাষণ্ড গরুর পায়ের রগ কর্তন করেছে!

এক পাষণ্ড অন্যের লিচুর বাগানে ঘাস খাওয়ায় একটি গরুর পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন । দুই পায়ের রগ কাটার ফলে গরুটি দাঁড়াতেও পারছে না এখন। গরুটিকে দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পাষণ্ড ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী গরুর মালিক।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় দিনাজপুর সদর উপজেলার এক নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামে।

ভুক্তভোগী গরুর মালিক ওই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস জানান, সোমবার সন্ধ্যায় গরুটি আমার নিজ লিচু বাগানে বাধা ছিল। গরুটি দুই মাস আগে একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে। সন্ধ্যায় গরুটি বাঁধা রশি ছিঁড়ে পাশের মৃত হাকিম মণ্ডলের ছেলে লুৎফর রহমানের লিচু বাগানে প্রবেশ করে ঘাস খায়। এতে লুৎফর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গরুর পেছনের দুইটি পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। এতে গরুটি দাঁড়াতে পারছে না। আমি রাতে বাধ্য হয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাই। মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকাল ১১টায় আবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিলে সেখানে আমার গরুটির চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, লুৎফর রহমানের সঙ্গে আমার কোনো ধরনের শত্রুতা নেই। তারপরও তিনি আমার গরুর সঙ্গে এমন আচরণ কেন করলেন? গ্রামের একটা নিয়ম আছে অন্যের কোনো গাছ বা ক্ষেতের ক্ষতি করলে পশুটিকে খোয়াড়ে দিতে হয়। কিন্তু তিনি তাও করেননি। বরং এই অবলা গরুর দুইটি পায়ের রগ কেটে দিলেন! একজন ভালো মানুষ এভাবে কখনই করতে পারেন না। আমি তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার রাতে গরুটিকে আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তখন এখানে চিকিৎসা দেওয়ার মত কেউ ছিল না। তাই মঙ্গলবার সকালে নিয়ে এলে আমরা গরুটির ২টি পায়ের সেলাইসহ অন্যান্য চিকিৎসা দেই। এটা তো এক ধরনের ফৌজদারী অপরাধ। একজন সুস্থ ব্যক্তি কখনই পশুর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না।