বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত আসিফ আকবর ন্যান্সির করা মানহানির মামলায় জামিন পেয়েছেন। ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক আব্দুল হাই রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে আসিফের জামিনের আদেশ দেন। একই সাথে আগামী ৮ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনীরা ন্যান্সি। গেলো বছরের ৩১ ডিসেম্বর আসিফ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজে তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রসঙ্গে একটি লেখা পোস্ট করেন। যেখানে কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সিই মামলা করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রেজাউল কবির আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে করা মামলাটি যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তা আদালতে প্রমাণে সমর্থ হয়েছি। আমাদের যুক্তি ও প্রমাণাদিতে সন্তুষ্ট হয়ে আদালত আসিফ আকবরকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন।’

মামলা প্রসঙ্গে আসিফ আকবর বলেন, ‘এটি একটি মিথ্যা মামলা। একটি চক্র এগুলো করছে। আমার বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা হয়েছে সবগুলোর এজাহারও একই রকম। ২০১৮ সালের টকশোতে কথা বলা নিয়ে ২০২০ সালে মামলা করা হয়েছে, শুধু আমাকে হয়রানি করার জন্যে।’

এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেন ন্যান্সি। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার কণ্ঠ সফলতায় হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করে বিবাদী আসিফ আকবর বিভিন্ন সময় ইউটিউব, রেডিও ও টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে আসছেন। এছাড়া তিনি আমার গাওয়া ১২টি গান অনুমতি না নিয়ে সত্ত্ব বিক্রি করে দেন। আমি আমার ১২টি গানের সত্ত্ব দাবি করলে বিবাদীর রোষানলে পড়ি। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন।’

ন্যান্সির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেলো বছরের ৩১ ডিসেম্বর আসিফ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছিলেন, ‘বছরের শেষদিনে আদালতের সমন পেলাম। কোনো একজন স্বনামধন্য গায়িকা মামলা করেছেন। এখনেও মামলার কপি উত্তোলন করিনি, তাই সঠিকভাবে কোনো তথ্য দিতে পারছি না। এতটুকু জানি, ময়মনসিংহে গিয়ে মামলা ফেস করতে হবে। হাতে কিছু সময় আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনোরকম অপরাধ প্রমাণ করার কিছু আছে তা আপাতদৃষ্টিতে দেখি না। কোর্টকাচারী লম্বা-চওড়া প্রক্রিয়া। রসদ আছে প্রচুর, মামলা আমিও করতে পারি, কারো বিরুদ্ধে এসব প্ল্যান নিয়ে ভাবার সময়ও নাই। সেক্ষেত্রে আরেক পক্ষের দাবড়ানি সহ্য করাটাই শ্রেয় মনে করেছি।’