পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মহালয়া পূজা উপলক্ষে বদেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

তবে গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৬৯টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনেও নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট আউলিয়াঘাটে গিয়ে দেখা মেলে এমন চিত্রের।

নিখোঁজদের স্বজনরা বলছেন, দেবী মায়ের কী ইচ্ছে জানি না। তার ভাসানের আগেই আমাদের প্রিয়জন ভক্তের ভাসান হয়ে গেল। এবার দুর্গাপূজা কিভাবে করব আমরা ভেবে পাচ্ছি না। বিধাতার লিলা বোঝা বড় মুশকিল। তবে নির্মম হলেও নিয়তি মেনে নিতে হয়।

করতোয়া নদীর ঘাটে বসে থাকা বাবা হারা তপন চন্দ্রের বলে, এবার পূজাতে অনেক আনন্দ করার কথা ছিল আমাদের। বাবা (সরেন্দ্রনাথ) আমার শ্বশুরকে বদেশ্বরী মন্দির দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নৌ ডুবির ঘটনায় ৬দিন ধরে বাবার মরদেহ পাচ্ছি না। ভগবানের কাছে মিনতি যেন বাবার কঙ্কালটি পাই আমরা। এবং সেটারই যেন সৎকার করতে পারি।

পঞ্চগড়ের ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক শেখ মাহাবুবুল আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শেষ মরদেহটি না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে জানা যায়, গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) আউলিয়া ঘাটে নৌ ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে একই ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজন রয়েছে। এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। তবে নৌ দুর্ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনেও নিখোঁজ স্বজনরা প্রিয় ব্যক্তির মরদেহ পাওয়ার আশায় এখনো করতোয়া নদীর ঘাট এলাকায় অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।

নিখোঁজ তিনজন হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর হাতিডুবা গ্রামের মদন চন্দ্রের ছেলে ভুপেন ওরফে পানিয়া (৪০), বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সরেন্দ্রনাথ (৬৫) এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথের মেয়ে জয়া রানী (৪)।