- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

নিষ্ক্রিয় বিএনপি, হতাশ নেতাকর্মীরা!

বিএনপির রাজনৈতিক তৎপরতা ফরিদপুরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে । জেলা সদরে নেই দলটির কোনো কার্যালয়। কর্মীদের মাঝে রয়েছে ছন্নছাড়া ভাব। দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির কমিটি না থাকায় তাদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা।

ফরিদপুরে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দেয়া হয় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর। এর আগে দশ বছর যাবত ওই কমিটি দিয়েই চলে দলীয় কর্মকাণ্ড। কমিটির সভাপতি ছিলেন জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলী ঈসা ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম লিটন।

এছাড়া ফরিদপুরের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও সেলিমুজ্জামান সেলিম।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে নেতাকর্মীরা বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুর রহমান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফের অনুসারী হিসেবে বিভক্ত ছিলো। বর্তমানে ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুর পর তার মেয়ে শামা ওবায়েদ এই পক্ষটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর কামাল ইবনে ইউসুফের গ্রুপিংয়ে রয়েছেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক নায়াব ইউসুফ চৌধুরী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতাকর্মীর অভিযোগ, দলে যারা দীর্ঘদিন পদপদবী নিয়ে ছিলেন তারা তৃণমূলের সাধারণ নেতাকর্মীদের কোনো খোঁজখবর নেন না। নেতাদের পারষ্পরিক গ্রুপিংয়ের কারণে জেলা কমিটি হয় না সময়মতো।

তারা জানান, সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসের কারণে জেলায় দলের পক্ষ হতে জোরালো ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয়নি। যেটুকু হয়েছে সেটি নেতারা ব্যক্তিগতভাবেই করেছেন।

ক্ষুব্ধ এক নেতা বলেন, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবেই বিএনপিকে আজ চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। বিগত দিনে যারা রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে নানা ঝামেলার মধ্যে পড়েছিল তাদের প্রতি কোনো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি নেতারা। ফলে অনেকেই ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়ে দলের কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে। এছাড়া গত ৫ মাস আগে জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত নতুন কোনো কমিটি গঠন হয়নি।

এ ব্যাপারে বিলুপ্ত জেলা কমিটির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া বলেন, একটি দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে তবে আমাদের মাঝে কোনো কোন্দল নেই। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে দলের সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। নেতৃবৃন্দ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। জেলা সদরসহ সব উপজেলাতেই তারা ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন। পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুতই কমিটি গঠন হতে পারে।