নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাথে সিরিজ খেলতে সফরে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু নিউজিল্যান্ড গিয়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। হোটেলে পাশাপাশি রুমে থাকার পরও কেউ কারো সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। লিংকন ইউনির্ভাসিটির হাই-পারফরম্যান্স সেন্টারে কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তাদেরকে।

এসব নিয়মকে জেলখানার মতো মনে হচ্ছে মিরাজের। এর কারণ হিসেবে অবশ্য মিরাজ বলছেন, আগে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি কখনও। ‘প্রথম তিনদিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম। তারপর আধঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি সবাই। আমি প্রথম যেদিন বেরিয়েছিলাম গতকালকে, শুরুর দিকে মাথা একটু ঘুরছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০-১৫ মিনিট পর ঠিক হয়ে গিয়েছে। যে তিনদিন ঘরের ভেতর বন্দি ছিলাম, আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে জেলখানায় আছি।’ কক্ষবন্দী থাকতে গিয়ে মিরাজের হতাশ লাগলেও সেটি বের হতে দেয়ার সুযোগে কেটে গেছে বলে জানান মিরাজ।

‘হতাশা আছে কিন্তু যখন বাইরে বেরিয়ে আসলাম, আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ালাম, তখন একটু ভালো অনুভূত হয়েছে। যখন ঘরে গিয়েছি, তখন নিজেকে একটু ফ্রেশ মনে হয়েছে। সারাদিন ঘরে থাকতে তো আর ভালো লাগে না। তিন-চারদিন ঘরে একা কাটানো, এটা আসলে একটু আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। এই যে ত্রিশ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে দেয়, এটা ভালো লাগে যখন রুমে যাই।’

প্রথম তিন দিন ঘরবন্দী থাকার সময়ে সবার সময় কেটেছে একে অন্যের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে, সিনেমা দেখে কিংবা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানান মিরাজ। প্রথম তিন দিন বেরুতে না পারলেও এখন বেরুতে পারছেন নিয়ম করে, তাতেই খুশি।

‘বুঝতেই পারছেন কী রকম কাটছে। এই প্রথম হোটেলের ভেতর এরকম পাঁচটা দিন কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না। কারও সঙ্গে দেখাই হয়নি। প্রথম তিনদিন তো কারও সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয়নি। ফোনে-ফোনে কথা হয়েছে সবার সাথে, ভিডিও কলে কথা হয়েছে (হাসি) রুম টু রুম। প্রথমদিকে বোরিং লাগছিল, সময় কাটছিল না। এখন যেহেতু পাঁচদিন কেটে গেছে, আশা করি আরও তিনদিন কেটে যাবে।’

নিউজিল্যান্ড সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মানুযায়ী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের প্রথম সপ্তাহ এভাবেই কাটাতে হবে সবাইকে। এর থেকে নিস্তার পায়নি করোনা ভ্যাক্সিন নেয়া বাংলাদেশ দলও। তবে অষ্টম দিন থেকে ফিটনেস ও সীমিত পরিসরে অনুশীলনের সুযোগ পাবে গোটা দল।