- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সোনালী লাইফের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসসহ আটজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আরও ব্যক্তিরা হলেন- পরিচালক ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, মোস্তফা কামরুস সোবহান, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ফজলুতুননেসা, নূর-ই-হাফজা ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর যাশেম বিন আমান।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষ থেকে করা আবেদনে যা বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জালজালিয়াতির আশ্রয়ে জাল চুক্তিনামা তৈরি করে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের তহবিল থেকে মোট ১৮৭ কোটি ৮৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা উত্তোলন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিং এর মাধ্যমে উক্ত অর্থ তাদের নামীয় বিভিন্ন কোম্পানী ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাদে অভিযোগে দুদকে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

আবেদন আরও বলা হয়, গত ২০ আগস্ট তাদের ৬০ দিনের জন্য বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২২ অক্টোবর (আগামীকাল) শেষ হবে। মামলাটি তদন্তকালে গোপন সূত্রে জানা যায় যে, মামলার আসামীগদ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে বিধায়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিম্নবর্ণিত আসামীগণের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন।