নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুরে ইজারাকৃত সোমেশ্বরী নদীর ১নং বালুঘাট থেকে ২৮ টি ড্রেজার মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি ড্রেজারে আগুন দেয়া হয় এবং ২২ টি ড্রেজারে লুজ পাইপ ও ভাসমান ড্রাম কেটে দেয়া হয়।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এ মেশিন গুলো ধ্বংস করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র বর্ম্মন ও মো. সাইফুল ইসলাম বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর আওতায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে ইজারাদার কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে ইজারাদার আলহাজ্ব মোশতাক আহমেদ রুহী বলেন, “ঘাট সৃজনের পর থেকে দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর উক্ত বালুমহালগুলো থেকে প্রচলিত দেশীয় পদ্ধতির ড্রেজার দিয়ে ২.৫ থে ৩.৭ এফ এম বালু উত্তোলন করা হয়ে আসছে। মোবাইল কোর্ট এর অভিযানে ড্রেজার ও ২৮ টি ড্রেজারের পাইপ ধ্বংস করে দেয়ায় হঠাৎ করে দুর্যোগে পড়েছেন বালুঘাটে কর্মরত দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের ড্রেজার মালিকগন।”
অতীতে কখনও এ ধরনের পরিস্থিতি ছিলনা বিধায় উচ্চমূল্যে ঘাট ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইজারাদারগন। আগামীতে ভীত সন্ত্রস্ত ব্যবসায়ীগন হয়তো চলতি মূল্যে ঘাটের ইজারা নিবে না ফলে সরকার বঞ্চিত হবে বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে ।
সরকারের দায়িত্ব বিগত ইজারা সনের চেয়ে ৫ গুনের অধিক ইজারামূল্য মূল্য দিয়ে ডেকে পরবর্তীতে কভিড ১৯ সংক্রমনের কারনে ২ মাস লক ডাউন । সংক্রমন চলমান থাকায় বালু ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব এখনও বিদ্যমান । তার উপর জেলা প্রশাসন কর্তৃক অদ্যবদি শিডিউল মোতাবেক রয়েলিটি নির্ধারন করা হয়নি । তাছাড়াও নভেম্বর মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বিকল্প ডাইভারশন চুক্তিপত্রের ২৮ ধারা অনুযায়ী বুঝিয়ে দেয়া হয়নি এখন পর্যন্ত । যেখানে কোন উপজেলা জেলা শহরে ট্রাক চলাচলের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা থাকে না সেখানে রাত আটটা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ট্রাক চলাচলের সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া – এইসমস্ত নিয়ম কানুন শিডিউলে উল্লেখ ছিল না ।
উপরন্তু সড়ক বিভাগের গেজেট বহির্ভূত ১০ চাকার ট্রাক চলাচল বন্ধের নির্দেশ ও বিভিন্ন সময় সৃষ্ট নানান প্রতিবন্ধকতা , পর পর কয়েকবার পাহাড়ী ঢলে বন্যা ও নৌ চলাচলে জারিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি , পূর্বের ইজারাদার কর্তৃক নিয়ম বহির্ভূত মজুদকৃত বালু বিপনন ।
ইতিমধ্যেই ইজারার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে প্রায়। এই মূহুর্তে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করলে ইজারামূল্যের অর্ধেকও উঠানো সম্ভব হবে না। ফলে ইজারাপ্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এই জোনে আগামীতে রাজস্ব বিপর্যয় নেমে আসবে। বালুঘাট সংশ্লিষ্ট সকলেই এ বিষয়ে শিডিউল মোতাবেক সমাধান দাবী করছেন।