- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

দুদকের আবেদনে ৮৩ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগীসহ ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিএফআইইউ থেকে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাল ইন্টারন্যাশনালের তিন পরিচালক ও এমডিসহ ৯ জনকে তলব করা হয়েছে। তাদের আগামী ১৮ আগস্ট হাজির হতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১০ আগস্ট প্রশান্ত হালদারসহ ৫ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রশান্ত হালদার পলাতক। ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রশান্ত হালদার পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত হালদারের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। দুদক সূত্রের দাবি, কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, কর ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন প্রশান্ত হালদার। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে অনুরোধ করে। এর ধারাবাহিকতায় প্রশান্ত হালদারের অর্থ লেনদেন নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্রমতে, প্রশান্ত হালদার ও তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, পি কে হালদারের হিসাবে ২৪০ কোটি টাকা এবং তার মা লীলাবতী হালদারের হিসাবে জমা হয় ১৬০ কোটি টাকা।