- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

দুই ভাইয়ের তুমুল লড়াই,বাঘিনীকে কেন্দ্র করে!

দুই ভাই হুঙ্কার তুলছে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে। তাদের হুঙ্কারে কেঁপে উঠেছিলো চারপাশ। বোঝা গেল তাদের মধ্যে কিছু নিয়ে লড়াই চলছে। একে অপরকে হুঙ্কার দিতে থাকে। লড়াইয়ের মাঝে মাঝেই থামে বাঘ দুটি। তারপর আবার লড়াই শুরু করে।

ডেইলি মেইল’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে এমনই এক ভিডিও যাতে দেখা গেছে, যুদ্ধের ময়দানে নেমে দুই ভাই বাঘ হুঙ্কার দিতে থাকে। এরপর তারা একে অপরের কাঁধে থাবা তুলে। শক্ত করে ঝাপটে ধরে। তারপরই একে অপরকে কামড় দেয়। এভাবেই আঘাত পাল্টা আঘাত চলতে থাকে।

ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের সাওয়াই মধুপুরের রান্ধাম্বর ন্যাশনাল পার্কের। আর এ যুদ্ধের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন ফটোগ্রাফার হার্শা নারাসিমহামুর্তি। পুরো লড়াইয়ের অসাধারণ কিছু ছবি তুলেছেন তিনি। মূলত ঘটনাটি ঘটেছিলো এক বছর আগে। সম্প্রতি তিনি ছবিগুলো প্রকাশ করেছেন। প্রতিটি ছবিতেই চমৎকারভাবে দুই ভাইয়ের হিংস্রতা ফুটে উঠেছে। দুটি বাঘ জঙ্গলে টাইগার-৫৭ ও টাইগার-৫৮ নামে পরিচিত।

তবে দুই ভাইয়ের লড়াইয়ের কারণ জানা যায়নি কিংবা জানা সম্ভবও নয়। তবে ভিডিও থেকে যতটুকু বোঝা যায়, তাদের লড়াই শুরু হওয়ার আগ ঠিক মুহূর্তে সেখানে এক বাঘিনী ছিল। লড়াই শুরু হতেই সে জঙ্গলের ভেতরে চলে যায়। তার মানে কি লড়াইয়ের কারণটা সেই বাঘিনী? তাকে পেতেই কি যুদ্ধের ময়দানে নেমেছিল দুই ভাই বাঘ?

সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি ফটোগ্রাফার হার্শা। তিনি বলেছেন, জঙ্গলে একটি বাঘ দেখতে পাওয়াই সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে একসাথে দুই বাঘ দেখতে পাওয়া এবং তাদের লড়াই। আসলেই অসাধারণ একটি মুহূর্ত ছিল।

হার্শা আরো বলেন, দুই ভাইয়ের লড়াই দেখে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে কাঁপছিলামও। প্রকৃতির বিস্ময়কর মুহূর্ত চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অক্টোবরে ছবিগুলো তুলেছিলেন হার্শা। তিনি ব্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা। ঘটনাটির ছবি তোলার পাশাপাশি ভিডিও করেছিলেন তিনি।