দায়িত্ব নেওয়ার পরই বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে সই করলেন ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরল বাইডেন প্রশাসন। এছাড়া করোনা মোকাবিলা এবং জাতিগত বৈষ্যমের মতো ইস্যুতেও ট্রাম্পের নীতির পরিবর্তনেও স্বাক্ষর করলেন বাইডেন। প্যারিস জলবায়ুর চুক্তিতে ফেরার বিষয়ে জাতিসংঘে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে গত বছর ওই চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

শপথগ্রহণের পর ওভাল অফিসে গিয়েই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে বাইডেন বলেন, ‘অপচয় করার মতো সময় নেই। অবিলম্বে কাজ করতে হবে।’ করোনা মহামারির সংক্রমণরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করেছেন বাইডেন। সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পড়ার আহ্বান জানান সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) শপথের পরই মাস্ক পরে ওভাল অফিসে ঢুকেন বাইডেন। সেখানে বসে কিছুক্ষণ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের রেখে যাওয়া নীতিতে আঘাত করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের পর্যটকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। অবৈধ অভিবাসীদের ঢল ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে ট্রাম্পের আদেশ স্থগিত করার কথা চলছে।

এর আগে ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই রাজনৈতিক উগ্রবাদ, শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য এমনকি ঘরোয়া সন্ত্রাসবাদের শেকড় উপরে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন। একইসঙ্গে নতুন করে শুরুর ডাক দিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

প্রখ্যাত মার্কিন সংগীত শিল্পী লেডি গাগার কণ্ঠে আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। তারপরই শপথ বাক্য পাঠ করতে বেগুনি রঙের ব্লেজার পরে মঞ্চে আসেন কামালা হ্যারিস। তাকে শপথ পড়ান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র। এর মধ্যে দিয়েই মার্কিন ইতিহাসে প্রথম কোন কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন কামালা। তাকে প্রথমেই শুভেচ্ছা জানান তার স্বামী তার ডগলাস এমহফ। প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন কামালা।