ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো খেলার মাঠে আর হাট বসবে না। মাঠ শুধু খেলার জন্যই উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।

তিনি বলেন, এখন শুধু মাঠগুলো শিশু, কিশোর, তরুণসহ সব বয়সীদের খেলার জন্য ব্যবহার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-১৪২৭ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তাপস।

মেয়র আরও বলেন, মুজিববর্ষে প্রথমবারের মতো ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ড মিলে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে ৬৩টি ফুটবল এবং ৬৪টি দল ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করবে। ঢাকা দক্ষিণের ১৩টি মাঠে খেলার আয়োজন হবে।

আগামী বছর থেকে প্রতিবছর খেলার আয়োজন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তাপস বলেন, করোনার কারণে আমাদের সন্তানরা দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিল। আমরা সন্তানদের আবারো খেলার মাঠ ফিরিয়ে দেব। এ কারণেই আমাদের এ আয়োজন। এখন থেকে প্রতিবছর আমরা এ আয়োজন করব। প্রতিবছর পাঁচটি করে খেলা হবে। পরের বছর থেকে জাতীয় খেলা কাবাডির পাশাপাশি বাস্কেটবল, ব্যাটমিন্টন, ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলার আয়োজন করা হবে। এখান থেকেই জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি শুরু হবে।

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ফুটবল এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেট খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। উভয় খেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে ১৫ মার্চ। সভায় ক্রীড়া আয়োজনের আদ্যোপান্ত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে শেখ তাপস ঘোষণা দেন ক্রিকেট ও ফুটবল দলের বিজয়ীরা প্রত্যেকে পাঁচ লাখ এবং রানার্সআপ দল তিন লাখ করে টাকা পাবে। খেলা অনুষ্ঠিত হবে ‘নক আউট’ পদ্ধতিতে।

অনুষ্ঠান শেষে ডিএসসিসি মেয়রকে মধুমতি ব্যাংক এক কোটি টাকার চেক এবং ওরিয়ন গ্রুপ ২৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে। পরে লটারির মাধ্যমে ক্রিকেট এবং ফুটবল দলের নির্বাচন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজমসহ ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।