- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

তরমুজ চাষিদের মুখে স্বস্তির হাসি

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। চড়া দামে বিক্রি করে কৃষকের মুখে এখন স্বস্তির হাসি ফুটেছে। তারা ইতোমধ্যে ক্ষেতের তরমুজ পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতে শুরু করেছেন। আরটিভি।

মহিপুর, কলাপাড়া, কুয়াকাটাসহ স্থানীয় বাজারে যাচ্ছে এসব গ্রীষ্মের ফল তরমুজ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসা শুরু করেছে এলাকায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় বালুর মাঠের বিশাল এলাকা জুড়ে তরমুজের চাষ হয়েছে। অনাবাদী জমিতে স্থানীয় চারজন কৃষক তরমুজ চাষ করেছেন।

কৃষক মো. মনির হাওলাদার বলেন, আমরা চারজন প্রায় ৪ মাস পূর্বে ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কঠোর পরিশ্রম করার পর ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। নিয়মিত সার-কীটনাশক প্রয়োগ, নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। আমরা পুরো ক্ষেতের তরমুজ ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।

আরেক চাষি মো. রাজ্জাক মুসল্লি বলেন, অগ্রিম তরমুজ বিক্রি করতে পেরে আমাদের প্রত্যকের ৩ লাখ টাকা লাভ হয়েছে।

মহিপুর বন্দরের তরমুজ ব্যবসায়ী মো কালাম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপকূলীয় এলাকায় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছি। মৌসুমের প্রথম তরমুজ আসায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন, আমাদেরও ব্যবসা হচ্ছে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, লতাচাপলী, মহিপুর, ধুলাসার, নীলগঞ্জ ইউনিয়নসহ এ উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার এ উপজেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে।