- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে পাঠদান চালিয়ে নিতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও বাড়তে থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে সুফল পাচ্ছি। কীভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো যায় সেটি বিবেচনা করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাঠদান চালিয়ে নিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এ শিক্ষাবিদ আরও বলেন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে। যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে তাদের কারিকুলাম শেষ করতে পারে। কীভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো যায় সেটি বিবেচনা করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের তথ্য বাতায়ন, ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ সরকারি নানা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে পারে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নেই। তাই অনলাইন ক্লাস করতে না পেরে কোনো ছাত্র-ছাত্রী যেন আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো দুর্ঘটনার সৃষ্টি না করে। এ অধ্যাপক আরও বলেন, সারা বিশ্ব থমকে গেছে মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে। বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী হয়তো এই ভেবে চিন্তা করছেন যে তারা সেশনজটে পড়ে গেলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে সেশনজটের চিন্তা নয় বরং জীবন বাঁচানোই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা বলে তাদের স্কুলে পাঠিয়ে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পরীক্ষাগুলো কমিয়ে আনা যায় কিনা তা ভাবতে হবে। এসব পরিকল্পনা এখনই নিতে হবে সরকারের। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন