আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়াকে ‘সঠিক’ অথচ ‘বিপজ্জনক’ সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে এই কোম্পানি। টুইটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডোরসি ধারবাহিক কয়েকটি টুইট করে এ মন্তব্য করেছেন। পার্সটুডে।

একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, যে ‘অস্বাভাবিক ও অসহনীয়’ পরিস্থিতির কারণে টুইটার এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছে তা তৈরি না হলেই ভালো হতো। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়াকে টুইটারের জন্য ‘ব্যর্থতা ‘হিসেবে আখ্যায়িত করে ডোরসি বলেন, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মুক্ত আলোচনা’র পরিবেশ ধরে রাখতে পারেননি।

গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের সমর্থক দাঙ্গাবাজদের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় টুইটার, ইউটিউব ও ফেসবুক। জ্যাক ডোরসি আরো বলেন, টুইটারের অভ্যন্তরে ও বাইরে ব্যাপক হুমকি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ হাতে আসার পর তারা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

ট্রাম্পের টুইটার বার্তা পেয়ে গত ৬ জানুয়ারি তার হাজার হাজার দাঙ্গাবাজ শ্বেতাঙ্গ সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলের সামনে অবস্থান নেয়।

ওইদিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নাম চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত অধিবেশন চলাকালে ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে ঢুকে পড়ে এবং ব্যাপক তাণ্ডব চালায় যার জের ধরে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হন।

পরবর্তীতে ট্রাম্প আবার টুইটার বার্তা লিখে এসব দাঙ্গাবাজকে ধন্যবাদ জানান। টুইটারের পক্ষ থেকে বহুবার সতর্কবার্তা দেয়ার পরও ট্রাম্প তা না শোনায় তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।