- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

জাহাঙ্গীরনগরে ১১ মাসেই শিবিরের চমক


হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্য রাজনীতি অনানুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ওই বছরের অক্টোবরে শিবির প্রকাশ্যে আসে। গত বছরের অক্টোবরে তারা প্রকাশ্যে আসে। প্রকাশ্যে আসার মাত্র ১১ মাসে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।

জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অঙ্কে চতুর্থ নম্বরে আছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীরা। ২১টি ভোটকেন্দ্রের একটিতেও জয় পাননি তারা। এমনকি কোনো কোনো হলকেন্দ্রে মাত্র সাতটি ও আটটি ভোট পাওয়ার ঘটনা রয়েছে। একই অবস্থা এজিএস (পুরুষ) ও এজিএস (নারী) পদের দুই প্রার্থীরও। দলটির প্রার্থীরা জাকসুর ২৫টি পদের একটিতেও জয় পাননি। অপরদিকে জাকসুতে মাত্র দুটি পদে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) প্রার্থীরা। ভিপি, জিএসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের প্রার্থীরা হেরে গেছেন। গণ-অভ্যুত্থানে বড় ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থীদের এ সংগঠন মাত্র এক বছরের মাথায় কাঙ্ক্ষিত ফল ঘরে তুলতে পারেনি। ছাত্রলীগের অংশগ্রহণবিহীন এই নির্বাচনে ছাত্রদল ও বাগছাসের এমন ফলাফল-রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে রয়েছে।

আরও জানা গেছে, রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকাবস্থায় দলটির নেতাকর্মীরা দলীয় পরিচয় গোপন রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে ছিল। শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিল। এতে তাদের নিজস্ব ভোটব্যাংক গড়ে ওঠেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরুর পর থেকে কর্মসূচিতে নারী নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার অনুপস্থিতি ভোটারদের মধ্যে তাদের প্রতি আস্থা বাড়িয়েছে। মূলত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমূর্তিই ছিল জয়ের প্রধান নিয়ামক। ভিপি পদ ছাড়া দলটির প্রায় সব ভোটার তাদের প্যানেলে ভোট দিয়েছে।

জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিগত সময়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের আসলে ওভাবে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পায়নি। তবে যেহেতু বিভিন্ন সময়ে আমরা সামনের সারিতে ছিলাম, শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করেছি তাই আমরা ভোট পেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিহিংসা বা নেতিবাচক কার্যক্রমে জড়িত নই। এ কারণে শিক্ষার্থীরা অন্যান্য দলের সঙ্গে আমাদের পার্থক্যটা বুঝতে পারছে।