
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনার পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরের ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে ভারতেও পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, ভারতের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ভারতের গর্বের ৫টি যুদ্ধবিমান এখন কেবল ছাই আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শত্রুকে অসহায় নতজানু অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শত্রুকে নতজানু করতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর কৃপায় আমাদের ফাইটার জেটগুলো আকাশে এমন ঝড় তুলেছিল যে শত্রুরা ভয়ে চিৎকার করেছে। ভারতের গর্বের পাঁচটি যুদ্ধবিমান এখন ছাই আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এই হামলায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাকিস্তানে মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে দেশটিতে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত। যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানায়, ভারতের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এ ছাড়া কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত এবং পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় উভয় দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ভারতের এই হামলাকে যুদ্ধের একটি স্পষ্ট পদক্ষেপ বলে পাকিস্তান অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান ভারতীয় আগ্রাসনের যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে।