দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের সংসদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৯টায় শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম জানান, প্রতিটি হলে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ৬৭ জন শিক্ষক পোলিং অফিসার এবং সমসংখ্যক কর্মকর্তা সহকারী পোলিং অফিসার হিসেবে থাকবেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবে।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহসভাপতি পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ১ হাজার ৫০০ পুলিশ, ৭ প্লাটুন বিজিবি ও ৫ প্লাটুন আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ছাত্রদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা: আল বেরুনী হলে ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হল ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন ও তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা: নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন ও তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।
মোট ২১টি ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ২২৪টি বুথ। নির্বাচনে বামপন্থী, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থিত মোট ৮টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে।