- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

চীনের আগ্রাসনে মোটেই খুশি নয় আমেরিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যেভাবে চীনা আগ্রাসন ক্রমেই বাড়ছে তাতে মোটেই খুশি নয় আমেরিকা। ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সংঘর্ষকেও ভালো চোখে দেখছে না তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন যে, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের মতো এশীয় দেশগুলির উপর যেভাবে রণংদেহী মনোভাব নিয়েছে চীন তা যথেষ্টই উদ্বেগের।

বৃহস্পতিবার (২৫জুন) ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে পম্পেও বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের আগ্রাসনের কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে। জার্মানির দিকে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে পম্পেও বলেন, বর্তমানে যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি।

আরো পড়ুন: করোনাজয়ীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার পার করেছে ইরান

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনাও করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্য হুমকি নয়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন্সও চীনের হুমকির মুখে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তত্‍‌পরতা নিয়েও ক্ষুব্ধ আমেরিকা। পম্পেওর কথায়, ‘বর্তমান সময়ের এই চ্যালেঞ্জ’- এর মোকাবিলা করতেই মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সেরিয়ে আনা হচ্ছে।

মাইক পম্পেও স্পষ্টভাবেই বলেন, “আমরা পিএলএ-কে (চিনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি) মোকাবিলা করার জন্যে যথাযথ ভাবে মার্কিন সেনা নিয়োগ করব। আমরা মনে করি, এটা আমাদের সময়ের চ্যালেঞ্জ।”

আরো পড়ুন: মার্কিন উসকানির জবাব দেয়া হবে শক্তিমত্তার সঙ্গে: ভেনিজুয়েলা

গত সপ্তাহেও মাইক পম্পেও চীনের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ানো এবং কৌশলগতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণের জন্যে চীনাবাহিনীর নিন্দা করেন তিনি।

গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। ওই সংঘর্ষের সময় জখম হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ানও।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, চীন যেভাবে এই অঞ্চলে আরো বেশি করে সেনা মোতায়েন করছে তাতে দু’দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষার্থে ৬ জুন যে চুক্তি করা হয়েছিল তা লঙ্ঘিত হয়েছে। দুই দেশের মেজর জেনারেল স্তরে হওয়া ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল যে, এলএসির কাছে থাকা চীনা ছাউনিটি সরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তা হয়নি।