- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

চাঁদপুরে শ্মশান দখল নিয়ে থানায় অভিযোগ

চাঁদপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৪টি শ্মশান ভেঙে তা স্থানীয় একজন প্রভাবশালী দখল করেছে। এ ঘটনায় গতকাল চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত লিটন বণিক, অমর শীল, শীতল শীল, মল্লিকা বণিক বলেন, শনিবার দুপুরে প্রতিবেশী অ্যাড. বাবরুল আমিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোক ভাড়া করে আমাদের ১৮ শতাংশ জমি দখল করেন। এ সময় ওই স্থানের ৪টি শ্মশান ভেঙে ফেলে এবং কিছু ফুল ও ফুলের গাছ কেটে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখল করে। শ্মশান ভাঙার পর আতঙ্কে মধুসূদন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বী ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। লিটন বণিক বলেন, এই শ্মশানটি গত ২০ বছর ধরে আছে। আমরা ক্রয় করে জমি ভোগ করছি ৩৫ বছর ধরে। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি শ্মশানসহ এই জমি দখল করছেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তারা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। এতে আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রণজিৎ রায় বলেন, করোনার এই সময়ে এই ধরনের কান্ড মেনে নেওয়া যায় না। এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিপন্থী কাজ। এ কর্মকান্ড সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অপচেষ্টা বলে মনে করি। আমরা কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করব না। ঘটনাস্থলে আমাদের লোক গিয়ে বিষয়টি দেখবে। অ্যাড. বাবরুল আমিন বলেন, যে জায়গা নিয়ে বিরোধ তা আমার বাপ-দাদার জায়গা এবং এর স্বপক্ষে সব কাগজপত্র রয়েছে। আমি তারপরও শ্মশানের জায়গা বাদ দিয়ে আমার বৈধ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি। আর শ্মশান ভাঙার বিষয়টি ভিত্তিহীন। সনাতন ধর্র্মাবলম্বীরা যে দাগের জায়গার দাবি করছে মূলত তা অন্যত্র, বিলের মধ্যে বলে দাবি করেন তিনি। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সদর সার্কেল জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পর পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে। জমি সংক্রান্ত বিষয় থাকায় আমরা তাদের পরামর্শ দিয়েছি- আদালতে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়া তিনি আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন, সেটি আমরা তদন্ত করছি। পুলিশ তাদের পাশে আছে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন