- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফিলিপিন্স

চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘গনি’র তাণ্ডবে অনেকটাই বিধ্বস্ত ফিলিপিন্স। ঝড়ের কবলে পড়ে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১ নভেম্বর) ঝড়টিকে ‘বিপর্যয়কারী’ অ্যাখা দিয়ে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এখন পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে গনি ফিলিপিন্সের মূল দ্বীপ লুজনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যাতানদুয়ানেস দ্বীপ দিয়ে সাগর থেকে স্থলে উঠে আসে। এরপর ফের সাগর হয়ে টাইফুনটি ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রবল বাতাস ও তীব্র বৃষ্টিসহ দ্বিতীয়বার স্থলে উঠে আসে বলে ফিলিপিন্সের আবহাওয়া ব্যুরো জানায়।

বিকোল অঞ্চলের প্রদেশগুলোর ওপর দিয়ে ‘ধ্বংসাত্মক প্রবল ঝড়ো বাতাস ও প্রবল থেকে তীব্র বৃষ্টিপাত’ হতে পারে। ম্যানিলার দক্ষিণে কেজন, লাগুনা ও বাতাঙ্গাসের কিছু অংশেও এর প্রভাব পড়তে পারার পূর্বাভাস রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির ফলে আগামী ১২ ঘণ্টায় দেশটির কয়েকটি প্রদেশে ভারি বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার গতিতে উপকূলীয় এলাকা ‘বিকোল’-এ আঘাত হানে ঝড়টি। জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।

ঝড়ে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে আলবে প্রদেশে। অন্য দু’জন পানির স্রোতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে গাছ ভেঙে আরেকজনের ‍মৃত্যুর খবর জানায় প্রশাসন।

ঝড়ের কারণে দেশটির বিমানবন্দর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শরীরচর্চা কেন্দ্রসহ সব কিছু সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টা রাজধানী ম্যানিলার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানা গেছে।

২০১৩ সালে টাইফুনের হাইয়ানের কবলে পড়ে ফিলিপিন্সে ৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।