
অর্ধশত বছরেও রাজধানীর অনেক জায়গায় হয়নি সংস্কার। জীর্ণ গ্যাসের লাইন কোথাও মৃত্যুকূপ, কোথাও বছরজুড়েই গ্যাস সংকটের কারণ। বছরের পর বছর তিতাসের দ্বারে ঘুরেও সুরাহা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিতাসের ব্যর্থতাতেই পাইপলাইন ঝুঁকিপূর্ণ। এসব বিষয়ে তিতাস কোনো কথা বলতে না চাইলেও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, সংকট কাটাতে নেয়া হয়েছে ১২শ’ কোটি টাকার প্রকল্প, বাস্তবায়নে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত আড়াই বছর।
রাজধানীর অনেক স্থানেই চোখ পড়বে এমন বুদবুদ। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়া গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকেই বেরিয়ে আসছে গ্যাস। জাগাচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডির মতো দুর্ঘটনার শঙ্কা।
যখন তখন গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার কারণও এসব জরাজীর্ণ পাইপলাইন। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, রামপুরা, বাসাবো, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক পয়েন্টে বছরজুড়েই গ্যাস সংকটে ভোগান্তি প্রতিদিনের বিষয়।
রাজধানীর বাইশটেকি এলাকার এক বাসিন্দা জানালেন, লিকেজ সারাতে ও পুরোনো লাইন পাল্টাতে তিন বছর ধরে তিতাসের কাছে লিখিত আবেদন করেও ব্যর্থ তিনি।
যোগাযোগ করা হলে একজন মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু ওই কর্মকর্তাও মন্ত্রণালয়ের বারণের অজুহাতে বললেন না কিছুই।
পরে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানালেন, ১২শ’ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম মনে করেন, তিতাসকে কঠোর নজরদারিতে আনার কোনো বিকল্প নেই।