শীতে গুড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নাটোরের লালপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদন বেড়ে গেছে। আখ ও খেজুরের রসের পরিবর্তে গুড় তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে চিনি, ক্ষতিকর রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য। এই গুড় খেলে পেটের বিভিন্ন অসুখসহ ক্যান্সারও হতে পারে বলছেন চিকিৎসকরা। জেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানেও থামছে না ক্ষতিকর গুড় উৎপাদন।

জানা গেছে, শীতে গুড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, বাগাতিপাড়া, লালপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক ব্যস্ত আখের ও খেজুরের গুড় উৎপাদনে। নাটোরে উৎপাদিত খাঁটি গুড়ের কদর দেশ জুড়ে থাকায় লালপুরের কিছু অসাধু গুড় উৎপাদনকারী তৈরি করছেন ক্ষতিকর গুড়। আখের রস ও খেজুরের রসের পরিবর্তে চিনি, ক্ষতিকর রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে তৈরি করছেন গুড়।

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব আখের ও খেজুরের গুড় খোদ প্রস্তুতকারীও খেতে ভয় পান। ক্ষতিকর গুড় উৎপাদনকারীদের দাবি করেন, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে এই গুড় সরবরাহ করেন।

আসল ও ভেজাল গুড় চিনতে না পারায় ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।

ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে নাটোর জেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) লালপুরে ৫ হাজার কেজি ক্ষতিকর গুড় ধ্বংস করা হয়।

তবে ভেজাল গুড় উৎপাদনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানান জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক।

নাটোর সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান জানান, ক্ষতিকর রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে তৈরি গুড় খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের অসুখসহ ক্যান্সারও হতে পারে। আর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ জানান, ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

লালপুর উপজেলায় প্রায় অর্ধশত মানুষ ভেজাল গুড় উৎপাদনের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।