গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং যুবলীগের সাবেক জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক বাবুল আক্তার বাবলা। গত মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর সচিবালয়ে গণপূর্ত ঠিকাদারদের সর্বসম্মতিক্রমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাবুল আক্তার বাবলাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহমান হান্নান।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েই মোটাদাগে কিছু পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছেন বাবলা। জানালেন সেই পরিবর্তনের কথা।

তিনি বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ঠিকাদারদের ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে বড় রকমের গড়মিল রয়েছে। শুরুতেই সেটা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। যেমন, একজন ঠিকাদারকে দুই দফায় ভ্যাট দিতে হয়। এখানে একটি যৌক্তিক পদ্ধতি চালু রয়েছে।

এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিটি বিলের সাথে একজন ঠিকাদার ভ্যাট প্রদান করে। এছাড়াও প্রতিমাসে প্রত্যেক ঠিকাদারকে ভ্যাট দিতে হয়। এই ভ্যাট দিতে একটু দেরি হলেই জরিমানা গুণতে হয়, এটা অযৌক্তিক। কেননা, একজন ঠিকাদার প্রতিটি কাজের ভ্যাট দেওয়ার পরে আবার কেন প্রতিমাসে ভ্যাট প্রদান করবে? আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে এটা বন্ধ করতে হবে। প্রতি মাসে আমরা ভ্যাট দেবো না। ঠিকাদাররা তো মুদি দোকানি না যে, প্রতিদিন ব্যবসা করে মাসে মাসে ভ্যাট দেবে। ঠিকাদাররা যখন কাজ করবে তখন ভ্যাট দেবে এটাই আমাদের দাবি। ঘরে বসে থেকে কাজ না করে আমরা কোন ভ্যাট দেব না।

এছাড়াও এক লাখ টাকার একটি টেন্ডারের সিডিউলের দাম এক হাজার টাকা। এই এক লাখ টাকার একটি কাজের সিডিউল ক্রয় করে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন ঠিকাদার। আনুসঙ্গিক খরচ দিয়ে প্রায় ছয় হাজার টাকা চলে যায়। এই সিডিউলের দাম আগে ছিল ১০০ থেকে ২০০ টাকা । তাই সিডিউলের দাম কমানোর বিষয়ে আমরা দাবি জানাব। তাছাড়া এক বছর পর পর সিডিউল পরিবর্তন করতে হয় কিন্তু এখনো ২০১৮ সালের সিডিউলে কাজ চলছে, এটাও পরিবর্তন করতে হবে। গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী, সচিব ও মন্ত্রীর কাছে চলতি সপ্তাহে স্মারকলিপির মাধ্যমে এই দাবি জানানো হবে বলে তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আরো অনেক যৌক্তিক দাবি রয়েছে। খুব দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে সব দাবি জানানো হবে।