- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

 ক্ষুদ্র দোকানিরা আগের চেয়ে ভালো আছেন!

‘সীমিত’ পরিসরে হলেও রাজধানীবাসী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরছেন। এরই সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও আবার কাজে ফিরেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতার সঙ্কট থাকলেও, বন্ধ থাকার চেয়ে এ অবস্থা তুলনামূলক ভালো।

রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো না হলেও, বেশ জমে উঠেছে ফুটপাতের কেনাবেচা। তবে এর বেশিরভাগ দোকানই মৌসুমি ফলের ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিক্রির। এর বাইরে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এবং পল্টনের বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ সংলগ্ন ফুটপাতে জামাকাপড়ের দোকানও রয়েছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ক্ষুদ্র পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, যাদের কর্মচারী ১৫ জনের নিচে, এমন সংখ্যা ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠান। যা দেশের মোট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ৩৯ ভাগ।

মতিঝিলের সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে শার্ট বিক্রেতা সাগর বলেন, দুই মাস তো বন্ধই ছিল। ঈদের কয়েকদিন আগে দোকান খুলছিলাম। বিক্রি হয় নাই। ঈদের পর বিক্রি কিছুটা বাড়ছে। কোনোমতে পেটে ভাত জুটতেছে। তবে সব দিন আবার সমান বিক্রিও হয় না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মৌসুমি ফল বিক্রেতা আফজাল বললেন, এখন তো আম-কাঁঠালের সময়। এগুলো তো ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে আমের দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি মনমতো হচ্ছে না। তবে আম-কাঁঠালের দিন যাওয়ার পর কী হবে, বুঝতেছি না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীতে বিএমএ ভবনের সামনের ফুটপাতে মিলছে পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড, হ্যান্ড থার্মোমিটার, পালস অক্সিমিটার, আই প্রোটেক্টিভ গ্লাসসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর। করোনা সংক্রমণের পর বলতে গেলে, তাদেরই ‘ব্যবসা’ ভালো।

মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, আগে থেকেই ফুটপাতে দোকান ছিল। সব বন্ধ করে দেওয়ার পর মাস্ক, স্যানিটাইজার বিক্রি শুরু করেছি। বিক্রি ভালো।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে অর্ধকোটির বেশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। সারাদেশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সে সময় প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন দোকানপাট খুললেও ব্যবসার অবস্থা ভালো না। এর জন্য দোকান মালিক ও কর্মচারীদের জন্য সরকারের কাছে আমরা আড়াই হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছি। আমরা এর আগে দুর্যোগকালীন সময়ে সাহায্য, প্রণোদনা বা আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়নি। শুধুমাত্র ২০১৩ সালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বায়তুল মোকাররমের ৩৩৩ জন ব্যবসায়ীকে প্রধানমন্ত্রী স্বপ্রণোদিত হয়ে ৫০ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।