শরীয়তপুরে একদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এবার কোরবানির পশুর হাট কেমন হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা! নিরাপদে কোরবানির পশু কেনার জন্য অনেকেই এবার বিশেষভাবে নজর দিচ্ছেন ডিজিটাল কোরবানির হাটে। সরকারিভাবেও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে এসব হাট পরিচালনার জন্য। পশু কেনার পাশাপাশি কোরবানিসংক্রান্ত অন্যান্য কেনাকাটাও করা যাবে অনলাইনে।

ঠিক তেমনি এক ভিন্ন আয়োজন নিয়ে প্রথমবারের মত অনলাইন পশুর হাটের আয়োজনে করেছে শরীয়তপুরের জনপ্রিয় একটি গ্রুপ “হৃদয়ে শরীয়তপুর”। এখানে যে কেউ তার পালনকৃত গরু/ছাগল বিক্রির পোস্ট দিতে পারবেন এবং গ্রুপে থাকা সদস্যগণদের যদি পছন্দ হয় তারা সরাসরি বিক্রেতার সাথে কথা বলে কুরবানির পশু ক্রয় করতে পারবেন।

গ্রুপের একজন এডমিন আমান উল্লাহ আমান বাংলাদেশের সময়.কমকে বলেন, এই অনলাইন পশুর হাটটি করা হয়েছে শুধু মাত্র সেই সকল স্থানীয় খামারী ও গ্রামীণ কৃষকের কথা চিন্তা করে যারা গরু/ছাগল কুরবানির উদ্দ্যেশ্যে লালন পালন করেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যেই এই আয়োজন। এছাড়াও শরীয়তপুরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করায় পশু হাটে নেয়া এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই ভিন্ন আয়োজন।

গ্রুপের আরেক এডমিন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির খান কাকন বলেন, আমরা চাই, মানুষের একটু উপকারে আসতে। আমাদের গ্রুপে পশু বিক্রি হলে আমরা কোনো ধরনের কমিশন/হাসিল নিচ্ছি না। আমাদের এই সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। ক্রেতা পশু ক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরাসরি বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করবে এবং দাম ঠিক করে ক্রয় করবে। আমরা শুধু চাই, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে পশু ব্যাবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং যারা হাটে যেতে আগ্রহী নয় তারাও যেন এর সুবিধা নিতে পারেন।

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া এডমিন রাবেয়া আক্তার মহুয়া বলেন, আমাদের এই আয়োজন যদি একজনেরও উপকারে আসে তাহলেই আমরা স্বার্থক। এমন একটি উদ্যোগের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমরা আশা করি, হৃদয়ে শরীয়তপুর গ্রুপটি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়াবে এবং মানুষের জন্য কাজ করবে।

শরীয়তপুরে বসবাসকারীদের নিয়ে করা ফেইসবুক গ্রুপটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কোয়ারেন্টাইন ও লকডাউনের সময়ে গ্রুপের সকলে মিলে ২৪১ টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী-উপহার বিতরণের মাধ্যমে গ্রুপটি আলোচনায় আসে।

সম্পাদনা: ফাহিম আহমাদ বিজয়