খেলা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের প্রথম দিনে টার্ফে খেলোয়াড়দের দিতে হলো কুপার টেস্ট। নেপাল ম্যাচকে সামনে রেখে প্রায় আট মাস পর দলীয় অনুশীলন শুরু করেছে জাতীয় ফুটবল দল।

১২ মিনিটের এই রানিং সেশনে অংশ নেন জাতীয় দলের ডাক পাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ১৪ জন। দীর্ঘদিন পর দলীয় অনুশীলনে ফিরে খুশি ডিফেন্ডার মোহাম্মদ রহমত মিয়া।
সাইফ স্পোটিং ক্লাব লিমিটেডের এই তারকা বলেন, ‘অনেক দিন পর জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। সেটা অনেক খুশির খবর। আমাদের অনুশীলন শুরু হয়েছে অনেক দিন পরে, সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারছি। করোনাকালে যখন আমরা ঘর থেকে বেরোতে পারি নাই তখন আমরা ঘরেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি, যখন মোটামুটি স্বাভাবিক হয়েছে তখন থেকে আমরা জিমে যাওয়া শুরু করেছি। জিম, খাওয়া দাওয়া ও ঘুম এটাই ছিল আমাদের করোনাকালীন রুটিন।

অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। জাতীয় দলের দুটি ম্যাচ শেষ হতেই ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম শুরু হবে। রহম মিয়া মনে করেন ফিট থাকতে পারলে পুরো মৌসুমজুড়ে তা কাজে দিবে।

তিনি বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ পেয়ে অবশ্যই খুশি। আমাদের দীর্ঘদিন মাঠে খেলা নেই। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো নেই। সামনে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হচ্ছে। প্রিমিয়ার লিগের আগে খেলা দুটোর জন্য আমাদের ফিটনেসের মান ভালো হয়ে যাবে। ক্লাবে গিয়ে আমরা খুব ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারব।’
আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচ নিয়ে বেশ আশাবাদী এই ডিফেন্ডার।

‘কোনওকিছুই আসলে অসম্ভব নয়। আমরা যখন এশিয়ান গেমসে গেছিলাম আমরা কী ভাবতে পেরেছি কাতারের মতো দলকে হারিয়ে দিবো। অবশ্যই না। কারণ কাতারের যে র‍্যাংকিংটা আমরা তাদের থেকে অনেক পেছনে। কোনোও কিছুই অসম্ভব নয়, আমরা চেষ্টা করব আমাদের সেরাটা দেওয়ার। ভালো ফলাফল করার আশা রাখি ইনশাল্লাহ।’ যোগ করেন রহমত।