ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রতিদিন সকালের নাস্তা বা সন্ধ্যায় হালকা খাবারে অনেকেই কিছু ফলমূল রেখে থাকেন। কেউ কেউ অফিসের লাঞ্চ বা স্কুলের টিফিনবেক্সেও ফল রাখেন। সমস্যা হয় ফল কেটে রাখতে গিয়ে। মশা-মাছি বসে জীবাণু ছড়ায়। এছাড়াও গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ ফল কেটে রাখার ফলে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এই ব্যাকটেরিয়া দ্রুত গতিতে বংশবিস্তার করে।

আম, আপেল, কিউয়ি, কমলালেবু বা আঙুর কেটে রাখার পর অনেকটাই খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়। এছাড়া তরমুজ, আনারস, পেঁপে, কলা ইত্যাদি ফল তো খাওয়াই যায় না। ফলের তৈরি কাস্টার্ড বা সালাদ পরিবেশন করতে গেলেও একই সমস্যা হয়। আয়রনসমৃদ্ধ ফল কাটার পর তা একদমই খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়। বাতাসের সংস্পর্শে আসায় ফলের আয়রন ও পলিফেনল এনজাইমের রিঅ্যাকশনের জন্য মরিচার মতো বাদামি ছাপ পড়ে।

লেবুর রস : কেটে রাখা ফলে লেবুর রস ছিটিয়ে রাখুন। লেবুর অ্যাসিড অক্সিডেশন ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম। ফলে লেবুর রস মাখিয়ে রাখায় ফলের রসও বের হয় না। এভাবে দীর্ঘক্ষণ ভালো রাখা যায় ফল। কিছু কিছু ফল এমনিই টক। সেসব টক জাতীয় ফলে লেবুর রস মাখানোর প্রয়োজন নেই। ফলে একবার লেবুর রস মাখানো হলে তা ফ্রিজে রাখুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলে অন্য ফলের গন্ধ মিশবে না।

বরফ পানি : ফলগুলো তিন থেকে চার ঘণ্টা বরফ পানিতে আইসকিউবসহ ফ্রিজে রেখে দিন। পানিতে ডুবে থাকার জন্য ফলের স্বাদ কিছুটা তারতম্য হতে পারে। তবে ফল আগের মতোই একদম ফ্রেশ থাকবে।

লবণ পানি : কাটা ফল তিন মিনিটের মতো লবণ পানিতে ডুবিয়ে রাখলেও কোনো দাগ-ছোপ হবে না। এক্ষেত্রে পানিতে হালকা লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। তা না হলে ফলের স্বাদ একদমই লবণাক্ত হয়ে যাবে। এছাড়াও লবণ পানিতে ফল রাখায় ফলের স্বাদ কিছুটা লবণযুক্ত হতে পারে। এছাড়াও এর সুবিধা রয়েছে, ফলে কোনো মশা-মাছি বসবে না।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল : ফলে লেবুর রস দিলে টক স্বাদ আসা নিয়ে ভাবছেন। তারা এই টক স্বাদ এড়াতে এয়ারটাইট পাউচ বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে রেখে দিন। তবে এই প্যাকিংয়ে কয়েকটি ফুটো করে নিতে হবে। এবার ফ্রিজে রেখে দিন। দীর্ঘক্ষণ ফ্রেশ থাকবে ফল।

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস