- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

করোনা মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল দুপুরে গণভবনে সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ পর্যন্ত গৃহীত ব্যবস্থা, চিকিৎসা সামগ্রী সংগ্রহ পরিকল্পনা এবং আগামী দিনে কভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ পর্যালোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে- সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। সংশ্লিষ্টরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা মোকাবিলায় কাজ করবেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান।

সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করার নিদের্শনা দেন। একই সঙ্গে কভিড-১৯ চিকিৎসায় খুবই কার্যকর ওষুধ আখ্যা দিয়ে ডেক্সামেথাসোন নিয়ে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে- সেগুলোও বিশ্লেষণ করা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ ডেক্সামেথাসোন ওষুধ ব্যবহারে কড়াকড়ি জারি করার কথা বলেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ডেক্সামেথাসোন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। গুরুতর ক্ষেত্রে যেমন মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়, কিংবা প্রেসার কমে গেলেও এটি ব্যবহার করা হয়। তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে, বিভিন্ন রকমের আথ্রাইটিসের চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসোনের ব্যবহার রয়েছে। সিরিয়াস অ্যালার্জির চিকিৎসায় এর ব্যবহার রয়েছে। ডেক্সামেথাসোন হচ্ছে স্টেরয়েড ঘরানার ওষুধ, তাই এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ডেক্সামেথাসোন অনেক দিন ধরে ব্যবহার করলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। ডায়াবেটিস হতে পারে, হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে এমনকি ফ্র্যাকচার হয়ে যেতে পারে, পেটে আলসার হতে পারে, রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। ডেক্সামেথাসোন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয়। ডেক্সামেথাসোনের অপরিকল্পিত ব্যবহারে সেকেন্ডারি কোনো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। কাজেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেন কোনো ফার্মেসি এই ওষুধ বিক্রি না করে এবং করোনা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিংবা আগেই যেন এই ওষুধ খাওয়া না হয় সে ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে। কারণ তাতে উপকারের চেয়ে অপকারের শঙ্কা অনেক বেশি।

এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন