সোমবার (২৪ মে) থেকে চালু হচ্ছে গণপরিবহণ। দীর্ঘ ৪৯ দিন পর বন্ধ থাকার পর চালু হতে যাচ্ছে গণপরিবহণ। অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে উঠল নিষেধাজ্ঞা। একই সঙ্গে অর্ধেক গ্রাহক বসানোর শর্তে খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানও। ট্রেনের ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। এর বাইরের অন্যান্য বিধিনিষেধ বজায় রেখে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

করোনা সংক্রমণ ও শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় এ বছরের ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় লকডাউন দেয় সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস, লঞ্চ ও ট্রেনসহ সবধরনের গণপরিবহন।

দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সরকারি বিধিনিষেধ বিভিন্ন সময় ক্ষেত্র বিশেষে শিথিল করা হলেও গণপরিবহন চালু হয়নি। এর মধ্যেই ঈদুল ফিতরে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই পথে ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। একইভাবে ঈদের ফিরতি যাত্রায়ও ছিল জনস্রোত। গণপরিবহন চালুর বিষয়ে ঈদের আগে ও পরে একাধিকবার বাস-লঞ্চের মালিক ও শ্রমিকরা দাবি তোলেন।

সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ৪৯ দিন পর সোমবার থেকে অর্ধেক আসন খালি রেখে সব গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলারও অনুমোদন মিলেছে। তবে সেখানেও সর্বোচ্চ অর্ধেক গ্রাহক একসঙ্গে বসতে পারবেন। এছাড়া অন্যান্য বিধিনিষেধ বহাল রেখে লকডাউন বাড়ানো হয়েছে আরও ৭ দিন। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেয়া প্রজ্ঞাপনে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনার প্রকোপ যখন যেমন থাকবে আমাদের নির্দেশনাগুলাও সেভাবে আসবে। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।

এদিকে সরকারি নির্দেশনা মেনে সোমবার সকাল থেকে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।

এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সবধরনের যানবাহনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কোনোভাবেই অর্ধেকের বেশি যাত্রী উঠানো যাবে না।

এদিকে রোববার (২৩ মে) রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে শুরুতে ২৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এরপর ধীরে ধীরে পরিধি বাড়ানো হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার কারণে এক আসন ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রি করা হবে। ৫০% শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে। তবে কাউন্টারে কোনো টিকিট পাওয়া যাবে না। সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে

প্রসঙ্গত, গত বছর প্রথম দফার লকডাউনে দেশের টানা ৬৬ দিন সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল।