শীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় সরকারকে এখনই প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শীতে আসতে পারে এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাদের পরামশ হলো, সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং টেস্ট বাড়ানো । একই সাথে আগের ভুল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শিক্ষা নেয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রায় তিন মাস সময় পায় বাংলাদেশ। তখন সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়, করোনা মোকাবেলায় তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এখন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারে ছাড়িয়ে গেছে চীনকেও। আরটিভি।

সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশে শীতের সময় কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। যাকে তারা বলছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। প্রশ্ন হলো দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায়, সরকার কতোটা প্রস্তুত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ করতে আমাদের জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। এজন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, মিডিয়া, সাধারণ জনগণ, সবাইকে এক হয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমাদের টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। যাতে আমরা জানতে পারি কত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

মহামারি শুরুর পর চিকিৎসার ব্যাপারে বেশি নজর দেয়া হলেও, সংক্রমণ ঠেকানো বা প্রতিরোধের বিষয়ে গুরুত্ব কম ছিল। এখন সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়ে আরও নজর দিতে হবে। সঙ্গে বাড়াতে হবে টেস্টের সংখ্যা।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, যদি করোনার সংক্রমণ এই শীতে বেড়েও যায়; তবুও এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সরকার প্রস্তুত। করোনার ভ্যাকসিন কীভাবে পাওয়া যাবে। প্রথমে কারা পাবে সে বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।