- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

এমনটাই হওয়ার কথা ছিল ‘সাহসী হিরো আলম’

খুব স্বাভাবিক। এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগে অসংখ্যবার ঢাকাই চলচ্চিত্রে এমনটা দেখা গেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ২১১ দিন পর যখন সিনেমা হল খুললো। তখন সিনেমা হলে মাত্র একটিই চলচ্চিত্র। আরটিভি।

সেটি হলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া হিরো আলম অভিনীত ও প্রযোজিত ‘সাহসী হিরো আলম’। শুক্রবার মুক্তির পর প্রতিটি সিনেমা হলের বেশির ভাগ আসন ছিল খালি। অনেক শো হল মালিকরা চালাতেই পারেননি দর্শক নেই বলে।

অথচ অনেক দাবি দাওয়ার পর সিনেমা হল খোলা হয়েছে। সবাই আশার আলো দেখছিলেন। প্রেক্ষাগৃহ সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এতোদিন পর সিনেমা হল খোলার পর এমন একটি ছবির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই।

তবে ছবিটি নিয়ে প্রচার প্রচারণার কোনো কমতি রাখেনি হিরো আলম। নিজের ছবি মুক্তি পর রাজধানীর বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ প্রাডো গাড়িতে করে প্রদর্শন করেন আলম। গাড়ির দু’পাশে শত শত মানুষ দেখা গেছে। এমনই এক ভিডিও এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সিনেমা হলের বাইরের যে মানুষগুলো আলমকে দেখার জন্য হাজির হয়েছেন তার এক ভাগও যদি হলের ভেতর থাকতেন!

তবে এসব নিয়ে চিন্তিত নন হিরো আলম। ছবিটি মুক্তি পাওয়া নিয়ে তাকে বেশ খুশি দেখা গেছে। ছবির এক নায়িকা বলেছেন, অনেক ছবিতেই কাজ করেছি। তবে আলমের মতো এতো ভালো ছবিতে আগেই কাজ করি নাই! আরেক নায়িকা বলেছেন, দর্শকদের ভালোবাসা পেলে তিনি আরও কাজের জন্য অনুপ্রেরণা পাবেন।

প্রশ্ন হলো সিনেমা হলে দর্শকই নাই অনুপ্রেরণাটা আসবে কোথা থেকে! শুক্রবার দেশের ৪০টি হলে ছবিটি মুক্তি পায়। ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিতে আলমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনজন নায়িকা। তারা হলেন- সাকিরা মৌ, রাবিনা বৃষ্টি ও নুসরাত জাহান। ছবিটি পরিচালনা করেছেন এ আর মুকুল নেত্রবাদী।

এদিকে আলমের ছবি নামিয়ে হল মালিকরা পুরোনো ছবি চালাবেন বলে জানা গেছে।