- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

এক মিলিয়ন ভিউ থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয়!

ভিডিওতে এক মিলিয়ন ভিউ হলে কত টাকা পাবেন, জানা আছে। এক মিলিয়ন ভিউকে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এক মিলিয়নেই সীমাবদ্ধ নয়; ইউটিউব ভিডিওতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়। নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন আসে—মিলিয়ন ভিউ হলে চ্যানেলের মালিক কত টাকা পান। কন্টেন্ট বানিয়ে কত টাকা আয় করা যায়। ইউটিউব থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয়ের সুযোগ আছে ঠিক, কিন্তু ইউটিউব থেকে আয় করতে গেলে অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়।

মূলত কোনো একটি ভিডিওর ভিউ অন্তত এক হাজার হলে তবেই তা থেকে টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার ভিডিওটি অন্তত এক হাজার জন দেখলে তবেই সেই ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে চ্যানেলটি অবশ্যই ইউটিউব প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

সাধারণত ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর যদি এক হাজার ভিউ হয়, সেই ভিডিও থেকে ১-২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৭ থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু সেই ভিডিওটি যদি ভিউ এক লাখ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে আয় আরও বেশি বেড়ে যায়। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত আয় হয়।

অবশ্য সেটি নির্ভর করে আপনার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের ওপর। সে কেমন ভিডিও নির্মাণ করছে, তার ওপর নির্ভর করে আয়।

এক মিলিয়ন ভিউ হলে সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কত আয় হবে, তা নির্ভর করবে ভিডিওর গল্পের ওপর। আপনার চ্যানেলের পূর্ববর্তী হিস্ট্রির ওপর। অর্থাৎ মনিটাইজেশন, বিজ্ঞাপন ও চ্যানেলে কোনো স্ট্রাইক আছে কিনা, কন্টেন্টের ওয়াচ সংখ্যা ইত্যাদি। তবে ইউটিউবে এক মিলিয়ন ভিউ থেকে সাধারণত দুই হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

আর যে ভিডিও ইউটিউবে ভিউ হয় তা থেকে ইউটিউব বেশি টাকা দেয় না। মূলত টাকা আসে বিজ্ঞাপন, প্রোমোশনসহ অন্যান্য আরও জায়গা থেকে। এ বিষয়টি নির্ভর করে সিপিএমের ওপর। অ্যাডভার্টাইজিংয়ের রেট থেকে প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে থাকে। যেমন—ইউটিউবারের দর্শকরা কোত্থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট।