- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

‘এক্সপ্রেসওয়ে’ হচ্ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কের দুই পাশে দুই সার্ভিস লাইনসহ থাকছে মোট ছয় লেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই রুটে প্রতিদিন ৩১ হাজার গাড়ি চলাচল করতে পারবে। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শুরু এ বছর, শেষ হবে ২০২৪ সালে। আমাদের সময়.কম।

প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যেই প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন করা হয়েছে। প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সুপারিশে বলা হয়েছে মহাসড়কে হেভি ট্রাফিক লোড ও ভবিষ্যৎ ট্রাফিক চাহিদা মাথায় রেখে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয় বিবেচনায় জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার মহাসড়কের উভয় পাশে ৫.৫ মিটার থেকে ৭.৩ মিটার চওড়া সার্ভিস লেন রাখতে হবে।

প্রকল্পটি সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যাত্রীবাহী-পণ্য বহনকারী যানবাহনগুলোর চলাচল দ্রুত-সহজ হবে। অযান্ত্রিক ও ধীরগতির পরিবহন চলাচলের জন্য মূল এক্সপ্রেসওয়ের পাশে সার্ভিস লেন থাকবে।

সূত্র মতে, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও জামালপুর জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে এই মহাসড়কে উল্লেখযোগ্য হারে যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে।

ইতোপূর্বে ২০১৬ সালে ৮৭ কিলোমিটার মহাসড়কে দ্রুতগামী যানবাহনের পাশাপাশি অযান্ত্রিক ও ধীরগতির যানবাহনের চলাচলের কারণে মহাসড়কে মাঝে-মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুতগামী যানবাহন যে গতিতে চলাচল করতে পারে না।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৪-লেনের উভয় পাশে ২টি ইমারজেন্সি লেন এবং মহাসড়কের উভয়পাশে স্থানীয় যানবাহনের চলাচলের জন্য ২টি সার্ভিস লেন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে।