- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

ইসরায়েলি আগ্রাসন: গাজাবাসীর রোজা শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র রমজান পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে আজ থেকে রমজান মাস শুরু। ঠিক সেই সময় ফিলিস্তিনের গাজাবাসীরা দিন পার করছে যুদ্ধ আতঙ্কে। সেখানে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। রমজানে যুদ্ধ বিরতির উদ্যোগ নেয়া হলেও ইসরায়েলি বিরোধীতায় তা কার্যকর হয়নি। এমন এক পরিস্থিতিতে রমজানের প্রস্তুতি নিচ্ছে গাজার মুসলমানরা।

রমজান ঘিরে গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি আশা দেখা গিয়েছিল। এ নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এক হাজারের বেশি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণে রাফা এলাকার আল–হুদা মসজিদ। গত মাসে সেটি ধ্বংস করে ইসরায়েলি বাহিনী। একসময় সেখানে দেড় হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারতেন। বর্তমানে ধ্বংস হওয়া মসজিদটির ক্ষুদ্র একটি স্থানে নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা। রমজানেও এ দুর্দশার মধ্যে নামাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

এদিকে রমজান ঘিরে অধিকৃত পশ্চিত তীরের জেরুজালেম শহরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরের ওল্ড সিটিতে হাজার হাজার ইসরায়েলি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে পবিত্র আল–আকসা মসজিদে রমজান মাসে প্রার্থনায় অংশ নেবেন মুসলিমরা।

রমজানের আগে গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে একটি বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, রমজান শান্তি, সহনশীলতা ও উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। গাজায় যাঁরা ভয়াবহ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের সবার প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানাচ্ছি আমি। এ কঠিন সময়ে রমজান আমাদের আশার আলো দেখাবে।

উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের আগ্রাসনে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩১,০৪৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (১০ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৮৫ জন নিহত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে মোট ৩১,০৪৫ জনে দাঁড়াল।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় আরও ৭২,৬৫৪ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় কার্যকর চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার অভাবে প্রায় ৬৬,২০০ জনেরও বেশি শিশু আহত হয়েছে। আর নিখোঁজ ও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে আরও অনেকে।