- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

ইউএনওর উপরে হামলাকারী যুবলীগ নেতাকে কেন র‍্যাব ছেড়ে দিল!

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে ধরেও র‍্যাব ছেড়ে দিয়েছে। আর এতে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া এখন পুরো এলাকাজুড়ে। জাহাঙ্গীরের ধরা পড়ার খবরে অনেকে স্বস্তি পেলেও ছাড়া পাওয়ার খবরে নতুন করে আতঙ্কিত এলাকাজুড়ে অনেকের মধ্যে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহেনশাহ’র ছত্রছায়ায় যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের ত্রাসের রাজত্বে বাধ সেধেছিলেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম। অভিযোগ স্থানীয়দের। তাকে হত্যাচেষ্টায় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসছে বার বার। এদিকে র‌্যাবের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর লাপাত্তা জাহাঙ্গীর।

তার দ্বারা নির্যাতিত ও নিগৃহীত ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকাশ করেছেন তাদের শঙ্কার কথা।

মেয়র আতাউর রহমান মিলন বলেন, ভয় পাওয়ারই কথা, ইউএনওর বাসায় হামলা হয়েছে। আমরা তো সাধারণ মানুষ।

সংসদ সদস্য সিবলী সাদিক বলেন, জাহাঙ্গীর কাদের মদদে এত সাহস পাচ্ছে, এটা খতিয়ে দেখা দরকার।

উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু রাফে খন্দকার শাহেনশার ছত্রছায়ায় জাহাঙ্গীর ও তার বাহিনীর সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, বালুমহল ও মাদক-ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে- এমন অসংখ্য অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন শাহেনশাহ।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবু রাফে খন্দকার শাহেনশা বলেন, আমার অফিসে কয়দিন যায়, কবে যায় আপনারা খোঁজ-খবর নেন।

র‍্যাব হেফাজত থেকে শুক্রবার বিকেলেই ফিরে আসলেও বাড়িতে নেই জাহাঙ্গীর। র‌্যাবের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তার পরিবার। আর এতোদিন ব্যবহার করলেও এখন পাশে না পেয়ে ক্ষোভ তাদের উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও।

জাহাঙ্গীরের মা বলেন, শাহেনশার জন্য আমার ছেলে অনেক কিছু করেছে, সে আমার ছেলের জন্য কিছুই করেনি।

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর নৃশংস হামলার পর তার সরকারি বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজে লাল ও সাদা পোষাক পরা দুজনের চলাচল ধরা পড়ে। এর সূত্র ধরে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, তার অনুসারী আসাদুল এবং নবিরুল ও সান্টু নামে দুই রং মিস্ত্রীকে বৃহষ্পতিবার ভোরে আটক করে র‍্যাব। শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুরে র‌্যাব প্রেস ব্রিফিং-এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে আসাদুলকে এবং হামলাকারী হিসাবে নবিরুলকে উপস্থাপন করে। আর জাহাঙ্গীরের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা জানায়।