- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

আলাদা ইন্ডাস্ট্রির জন্য আলাদা অঞ্চল বরাদ্দ করা হবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, যেখানে-সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ( বিডা) আয়োজিত ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি’র অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সবার প্রচেষ্টায় আমাদের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান ১৭৬ থেকে ১৬৮ এ উন্নীত হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ব্যবসা সহজীকরণ বা ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচক ডাবল ডিজিটে উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সব অংশীজনের সঙ্গে সমন্বয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যেখানে-সেখানে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান উন্নীত করতে পারলে আমাদের সময় বাঁচবে, সময় বাঁচলে আমাদের অহেতুক যে অনেক খরচ বেড়ে যায় সেটিও বাঁচবে। সময় ও খরচ দুটিই বাঁচার মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশও অনেক উন্নত হয়ে যাবে। বিডা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের যে ম্যাপিংটি করেছে এটি অত্যন্ত সুন্দর একটি পরিকল্পনা হয়েছে। এটির মাধ্যমে একটি লিনিয়ার রেসপন্সিবিলিটি অর্গানাইজেশন চার্ট তৈরি করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় যেখানে-সেখানে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে না তোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে আলাদা আলাদা ইন্ডাস্ট্রির জন্য আলাদা আলাদা অঞ্চল বরাদ্দ করা হবে।

‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ এর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা বাস্তবায়নে বেশ কিছু জটিলতাও বিশ্বব্যাংক ১০টি সূচকের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোর ব্যবসায়ের পরিবেশের সহজীকরণ প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবসা শুরু, নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুৎপ্রাপ্তি, সম্পত্তি নিবন্ধন, ঋণপ্রাপ্তি, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থরক্ষা, কর পরিশোধ, সীমান্ত বাণিজ্য, চুক্তি কার্যকর ও দেউলিয়াত্ব মীমাংসা।

বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ব্যবসা শুরুর সূচকটি পরিমাপ করা হয় ব্যবসার বাণিজ্যিক বিরোধ মেটাতে প্রয়োজনীয় সময় ও ব্যয় এবং এ-সংক্রান্ত আইনি পদ্ধতির গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে। এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে অগ্রসর হতে হবে। ১০টি সূচকের মধ্যে যে সমস্ত কাজগুলো আগে করলে বেশি মার্কস পাওয়া যাবে সে বিষয়গুলোকে আগে গুরুত্ব দিয়ে আগে সম্পাদন করতে হবে।

সভায় আরো সংযুক্ত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।