- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

আমার নির্বাচনী এলাকায় কোনো লোক না খেয়ে দিন যাপন করেননি: জামাল মোস্তফা

মুহাম্মদ নাঈম: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা বলেছেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডে কোনো লোক না খেয়ে দিন যাপন করেননি। বাংলাদেশের সময় ডটকমের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

করোনাকালীন সহায়তার ব্যাপারে একপ্রশ্নের উত্তরে কাউন্সিলর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে ন্যায় আমরাও প্রচুর সহায়তা করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড কোনো লোক না খেয়ে দিন যাপন করেননি। আমরা রাতের আধারে লোকদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি আমার আত্মীয় স্বজন,শুভাকাঙ্খিরা সহায়তা করেছে, জনগণের মাঝে উপহার হিসাবে তা বিতরন করেছি।

এলাকাবাসীর সেবার ব্যাপারে মোস্তফা বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড জনগণের কল্যাণে সর্বোদা নিয়োজিত রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। এলকাবাসীর কল্যাণে যারা যখন ডেকেছেন যথা সম্ভব সহায়তা মাধ্যমে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।

করোনায় আক্রান্ত রোগীর ব্যাপারে তিনি বলেন,ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের আমার প্রাণের ঠিকানা। আমরা এখনে সবাই মিলেমিশে বসবাস করে থাকি। আমার ৪ নং ওয়ার্ডের কোনো ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার ব্যাপারে যতোটুকু সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। আমরা আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তাও করেছি। সার্বক্ষণিক খবরা-খবর নিয়েছি। যেহেতু করোনাভাইরাস একটি আতঙ্ক ছিলো তাই যথা সম্ভব তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি।

জনসচেতনার ব্যাপারে জামাল বলেন, আমরা বিভিন্ন কাউন্সিল করে মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেছি। শ্রমিক, নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে শিখিয়েছি কিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। এর ফলে মানুষের মধ্যে সচেতনাতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা শ্রমিক, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নানা দ্রব্য বিতরন করেছি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি বলেন,আমার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডটি একটি মডেল ওয়ার্ড। যেহেতু মডেল ওয়ার্ড সেহেতু এই এলকার রাস্তা-ঘাট উন্নত। এই উন্নত করার ক্ষেত্রে আমার কোনো কেরামতি নেই। সরকার অনুদান দিয়েছে কাজ করার জন্য তাই জনগণের কল্যানের জন্য কাজ করেছি এবং তা করেই যাবো। যারা আমাকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে তাদের জন্য কাজ করে যাওয়াটাই আমার ডিউটি। আমার ওয়ার্ডে ওয়াসার লাইনসহ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের সমস্যার ধরন মাত্র ৫শতাংশ আশা করছি, অচিরেই সেগুলি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

মাদকের ব্যাপারে একপ্রশ্নের উত্তরে কাউন্সিলর বলেন, দেশে এখন মাদকের কারবারি খুব বেড়েই চলছে। দেশ থেকে মাদক নির্মূলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স সারা দেশের ন্যায় আমারা পূর্ণ সমর্থন করি। আমরা মাদক নির্মূলের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, মাদকের মাধ্যমে আজ যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। যারা যুবসমাজের হাতে মাদক তুলে দিচ্ছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। মাদকের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবেই। মাদক ব্যবসায়ীরা যেন ভবিষ্যতে সেই কারবারির মাধ্যমে যুবসমাজেকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে না পরে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, আজ আমাদের সমাজে নৈতিকতার খুবই অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। এর থেকে বাঁচতে হলে আপনার সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে চলাফেরা করে তার প্রতি নজর রাখুন। দেখবেন দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা সহজ হবে। তার নির্বাচনী এলাকায় মাদক বিরোধী কার্যক্রম অভ্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করে তিনি।