প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আমরা এ ধরনের একটি সমাজ এবং রাষ্ট্র চাইনি। এ মুহূর্তে আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু করতে হবে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, গত কয়েক বছরে বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারবোধ ও ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি বিকৃত করা হয়েছে। অসততা, বঞ্চনা, নিপীড়ন এবং নির্যাতনকে একটি স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে পরিণত করা হয়েছিল।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগও ভগ্নদশা থেকে মুক্ত নয়। তবে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিচার বিভাগ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে নতুন যাত্রা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। আমাদের এ সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের আগামী দিনে এগিয়ে নেওয়া না হলে ৫ আগস্ট যারা প্রাণ ও ত্যাগ করেছে, তা কোনো কাজে আসবে না। যেই মানুষগুলো কষ্টে আছে তাদের কথা তুলে ধরলে এবং তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন নিয়ে আসলেই আমাদের কাঙ্খিত সফলতা আসবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের দৃঢ়চেতনাকে স্মরণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই বিপ্লব নিপীড়নকে উৎখাত এবং ন্যায়বিচার, সাম্য ও মানবতা পুনরুদ্ধারের লড়াই। আমাদের ইতিহাসের এই সংজ্ঞায়িত মুহূর্তগুলো মনে করিয়ে দেয় যে, ন্যায়বিচারের সন্ধান একটি ক্ষণস্থায়ী প্রচেষ্টা নয় বরং একটি আজীবন প্রতিশ্রুতি যা আমাদের বিচারিক মিশনের ভিত্তি তৈরি করে।