রোগ প্রতিরোধ এমন একটি বিষয় যা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে আপনার শরীরকে লড়াই করতে সহায়তা করে। এজন্য আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন সে বিষয়ে জানা দরকার। জি ২৪ ঘন্টা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাদা রক্তকণিকা, লিম্ফ নোড এবং অ্যান্টিবডি দ্বারা গঠিত এবং শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এবং যে লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল-

* ঘন ঘন সংক্রমিত হওয়া: দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকটেরিয়াল সাইনোসাইটিস বা দু’বারের বেশি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ আছে। এই ঝুঁকিগুলো যদি মোকাবেলা না করতে পারে তবে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল।

* অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা: আপনার যদি যেকোনো বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয় তবে তা ভালো লক্ষণ না। দীর্ঘদিন এমন হতে হতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। এতে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং শরীরে লিম্ফোসাইটগুলি হ্রাস পায় যা সাধারণত সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি সাধারণ সর্দি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করে।

* অবসাদ: রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে আপনার সারাদিন ঘুম আসবে। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে আস্তে আস্তে।

* ঠাণ্ডার সমস্যা: চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার সাধারণ সর্দিতে ভুগতে পারেন। তবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল সারা বছর জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। সাধারণ ক্ষেত্রে, প্রতিরোধ ক্ষমতা অ্যান্টিবডিগুলো তৈরি করতে কাজ করে।

* আরোগ্য লাভে দেরি হওয়া: একটি দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত নতুন ত্বক তৈরি করতে পারে না, ফলে ক্ষত খুব ধীরে স্বাভাবিক হয়। রোগ প্রতিরোধ হলো স্বাস্থ্যকর প্রতিরোধক কোষ, যা ত্বকের ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে তোলে।

* দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা: চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হজমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এজন্য কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।

* জয়েন্টে ব্যথা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাজুক হলে আপনি রক্তনালীতে প্রদাহ, ভ্যাসকুলাইটিসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এতে করে পেশীতে ব্যথা হবে।