আঙুর আর কিসমিস একই। কাঁচা অবস্থাতে আঙুর আর শুকনো হলে তা কিসমিস। এতটুকুই পার্থক্য। তারপরও কি এই দুটো খাওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকতে পারে কিংবা এর পুষ্টিগুণে? দুটোর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

আঙুরকে শুকিয়ে কিসমিস বানানোর সময় প্রক্রিয়াতে এদিক-সেদিক হয়ে যায় দুটোর পুষ্টিগুণে। এ জন্য কারও ক্ষেত্রে আঙুর ভালো আবার কারও ক্ষেত্রে কিসমিস।

মিষ্টিত্ব : আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিসমিস। এতে কিসমিসে শর্করা ঘন হয়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের কিসমিস খাওয়া ক্ষতিকর। তবে আঙুরে তাদের সমস্যা তুলনামূলক কম। তাই ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আঙুর খাওয়া উচিত।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : শরীর সুস্থ রাখার জন্য শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই প্রয়োজনীয়। আঙুরের থেকে কিসমিস বেশি শুকনো হওয়ায় এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণের ঘনত্ব প্রায় ৩ গুণ বেশি হয়ে থাকে। তাই কিসমিস অনেক এগিয়ে এক্ষেত্রে।

ক্যালোরি : চিনির মতোই কিসমিস ক্যালোরির ক্ষেত্রে আঙুরের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে। কিসমিসের ভেতরের শাসগুলো বেশি ঘন হওয়ায় এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ওজন নিয়ন্ত্রণ : শরীরে বেড়ে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিসমিসের বিকল্প কিছু হতে পারে না। এটা ঠিক যে কিসমিসে ক্যালোরির মাত্রা তুলনামূলক বেশি। তারপরও আঙুরের থেকে কিসমিস শরীরের মেদ ঝরাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

প্রতিটি মানুষের শরীরের গঠনপ্রণালী পৃথক পৃথক। সেদিক থেকে আপনার জন্য কোন উপাদানটি স্বাস্থ্যকর এবং ভালো তা বুঝে নিতে হবে। আপনি যদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে গুরুত্ব দেন তাহলে কিসমিস খেতে হবে। আবার যদি চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে চিন্তা থাকে তাহলে কিসমিস ছেড়ে আঙুরেই ভরসা রাখুন। তারপরও আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঠিক করবেন যে, আপনার কোনটি খাওয়া উচিত হবে। সূত্র : ফিটডে ও হেলথলাইন