- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

আইপিএল: ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব

আরব আমিরাতে চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলে অংশ নেওয়া একজন ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ওই ক্রিকেটারই নিজেই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিটে (আকু) লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় তদন্তও শুরু করেছে আকু।

করোনার প্রভাবে এবার বায়ো-সিকিউর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আইপিএল। ফলে মাঠে প্রবেশ করতে পারছেন না ক্রিকেটার এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি সংশ্লিষ্টরা ছাড়া কেউই। সে হিসেবে ক্রিকেটারদেরকে সরাসরি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়ারও সুযোগ নেই এবার। তবে অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জুয়াড়িরা ঠিকই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিসিসিআইয়ের আকু প্রধান অজিত সিং একজন ক্রিকেটারের ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, হ্যাঁ, একজন ক্রিকেটার এমন অভিযোগ করেছে। আমরা তাকে ট্র্যাক করছি। কিছুটা সময় হয়তো লাগবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, ওই ক্রিকেটারের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। ফলে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটার নাকি বিদেশি ক্রিকেটার সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানা যায়নি তিনি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটার সেটিও।

বায়ো-বাবল সিকিউরড পরিবেশ থাকায়, অন্যান্য বছরের চেয়েও এবার অনলাইন মাধ্যমে বেশি নজর রাখছে আকু। অনেক ক্রিকেটার বিশেষ করে তরুণরা ইন্সটাগ্রাম কিংবা টুইটারের মাধ্যমে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেতে পারে বলে মনে করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বিসিসিআইয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় কিংবা বিদেশি এমনকি যারা খেলছেন না তাদের সবাইকেই বেশকিছু দুর্নীতি বিরোধী ক্লাস করানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ভালো ব্যাপার হচ্ছে যাকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সে সাথে সাথেই বিষয়টি জানিয়েছে। সব ক্রিকেটার, এমনকি যারা অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে এসেছে তারাও ফিক্সিংয়ের বিষয়ে বেশ সচেতন।

ক্রিকেটের এই আসরের দর্শকদের অধিকাংশই মনে করেন, আইপিএলে হরহামেশাই ঘটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা। এর আগে ২০১৩ সালে আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে সাবেক ভারত জাতীয় দলের পেস বোলার শ্রীশান্ত সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হন। এখন দেখা যাক, এবারের ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয়!