- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

অভিশংসনে পেন্সের নাকচ, অভিশংসিত হলে বিপর্যয় আসবে

সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী কার্যকর বা সমর্থন দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুতের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত জানান তিনি।

প্রস্তাবটি অনুমোদনে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ২২৩-২০৫ ভোট পড়ে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) পেন্স জানিয়ে দেন, এই প্রস্তাব অনুমতি দেবেন না তিনি। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে পেলোসিকে এক চিঠিতে সংশধোনীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পেন্স বলেন, ‘তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে ২৫তম সংশোধনীর আহ্বান জানাবেন না। এই দাবি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। এই মুহূর্তে এমন আবেগ দেশকে আরও বিভক্ত করবে এবং অশান্তি সৃষ্টি করবে।’

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব নিয়ে স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটির কথা রয়েছে। তবে মেয়াদের শেষ সময়ে তাকে অভিশংসনের জন্য ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রচেষ্টাকে পুরোপুরি ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার টেক্সাসে সীমান্ত দেয়াল পরিদর্শনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। বলেন, তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ ব্যাপক ক্ষোভ ও বিভক্তির জন্ম দিচ্ছে। একে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভয়ানক অ্যাখায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আইনপ্রণেতা জ্যামি রাসকিনের নেতৃত্বে নয়জন আইনপ্রণেতাকে নিয়ে অভিশংসন কমিটি গঠন করেছেন। এসব আইনপ্রণেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের জন্য যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। এ ছাড়া ক্ষমতার বাকি সময় ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকেই কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাব করেছেন পেনসিলভানিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক। অভিশংসন না করা গেলে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হতেও পারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর।

আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ নেবেন। ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে আর প্রেসিডেন্ট পদেও থাকবেন না। তবে এই শপথ নেওয়াকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের সশস্ত্র সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সহিংসতা চালাতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ট্রাম্প নিজেই ওয়াশিংটনে জরুরি অবস্থার জারির অনুমতি দিয়েছেন। রাজধানী ক্যাপিটল হিলসহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের আশপাশে অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা।